হরিরামপুর : পারিবারিক অশান্তির জের। আর তা থেকেই মদ্যপ বাবা কোপ বসালো নিজের ছেলের গলায়। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর থানা এলাকার দৌলতপুরে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছে দুই বছর বয়সি ওই শিশু। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসা চলছে শিশুটির। ঘটনার পর অভিযুক্ত বাবা প্রদীপ মার্ডিকে গ্রেফতার করেছে হরিরামপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রদীপ মার্ডি নামে ওই ব্যক্তি পেশায় কৃষক। মাঝেমধ্যে দিনমজুরের কাজও করে। মাঝে মধ্যেই মদ খেয়ে বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি করত প্রদীপ। বুধবারও সেই একই ঘটনা ঘটে। মদ্যপ অবস্থা শুরু হয় অশান্তি, বচসা। ক্রমেই তা চরমে পৌঁছায়। এরপর অশান্তি আরও বাড়তে মদ্যপ প্রদীপ স্ত্রীকে হাঁসুয়া নিয়ে তাড়া করে। ভয়ে, আতঙ্কে ঘর থেকে পালিয়ে মাঠে গিয়ে লুকিয়ে পড়ে স্ত্রী। আর এদিকে স্ত্রীকে সামনে না পেয়ে মদ্যপ অবস্থায় ওই ব্যক্তি কোপ বসায় নিজের ছোট্ট সন্তানের গলায়। ছোট্ট সেই ছেলেটি এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
জখম শিশুর মা আরতি মুর্মু বলেন, “ঘটনার সময় তিনি বাড়ি ছিলাম না। ছাগল আনতে মাঠে গিয়েছিলাম। এসে দেখি ছেলের ওই অবস্থা। কী করে কী হল কিছুই বুঝতে পারলাম না। এরপর ছেলেকে চিকিৎসার জন্য গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।”
এদিকে ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে আসে হরিরামপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্ত প্রদীপ মার্ডিকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, “ছেলের গলায় মদ্যপ বাবা কোপ দিয়েছে। এদিন বিষয়টি জানার পরেই ঘটনাস্থলে যায় হরিরামপুর থানার পুলিশ। জখম শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।