কুশমণ্ডি: দল বলেছিল প্রতীক দেবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেয়নি। প্রতিবাদে প্রতীক না পাওয়া মহিলা প্রার্থী ও অনুগামীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল বিধায়কের স্বামীকে। অভিযোগ, রীতিমতো কলার ধরে মা মাটিতে বসিয়ে প্রতীক না পাওয়ার কারণ জানতে চান মহিলা প্রার্থী নার্গিস বেগম ও তাঁর অনুগামীরা। এই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার সত্যতা যাচাই করেনি টিভি৯ বাংলা। খবর পেয়ে কুশমণ্ডি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি থানার ৩ নং উদয়পুর অঞ্চলের পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা করেছিলে নার্গিস বেগম এবং পিউ বসাক। দু’জনেই তৃণমূলের প্রতীকে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এ দিকে কুশমণ্ডির বিধায়ক রেখা রায় নার্গিস বেগমকে জানিয়েছিলেন তিনি পঞ্চায়েত সমিতির টিকিট পাবেন। কিন্তু শেষ মুহূর্ত অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুরে দেখা যায় দলীয় প্রতীক পাননি নার্গিস। এমনকী দলের তরফ থেকে তাঁর মনোনয়নপত্র তুলে নিতে বলা হয়। এতেই দলের প্রতি ক্ষোভে ফেটে পড়েন নার্গিস বেগম এবং তাঁর অনুগামীরা। কুশমণ্ডি ব্লক অফিসের পাশেই একটি ফাঁকা জায়গায় বিধায়কের স্বামী নকুল রায়কে দেখতে পেয়ে হঠাৎ তাঁর উপর চড়াও হয় নার্গিস ও তাঁর অনুগামীরা।
নার্গিস বলেন, “এই ঘটনায় প্রকৃত ব্যবস্থা নিতেই হবে। বিচার করতে হবে দলকে।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন,”টাকার বিনিময়ে তৃণমূল প্রত্যেকটা টিকিট বিক্রি করেছে। যার ফলে এইসব গণ্ডগোল প্রকাশ্যে আসছে। অন্যদিকে এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন,”বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। পুরো ঘটনা দলগত ভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
অভিযোগ নকুল রায় ও ব্লক সভাপতি কেশব যোশীর অঙ্গুলিহেলনে এলাকার দলীয় যোগ্য কর্মীরা প্রার্থী হতে পারেন নাই। টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের টিকিট পাইয়ে দিয়েছেন বিধায়িকার স্বামীয ব্লক সভাপতি। আর এই অভিযোগেই দলের মহিলারা আজ বিধায়িকার স্বামীকে পেয়ে তার উপর চড়াও হন।