কুমারগঞ্জ: ‘দিদির দোসর হয়েছে বামপন্থী ও কংগ্রেস। নিজে থাকে না অথচ পাড়ায় যারই বিয়ে হয় সেখানে নাচতে চলে যায়…’ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই ভাষাতেই তৃণমূল-সিপিএম ও কংগ্রেসকে বিঁধলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, ভোট এলে জোটের কাজ হল তৃণমূল বিরোধী ভোট কাটা। তৃণমূলকে জেতানো। এমনি সময় তাদের দেখা মেলে না ভোটের আগেই বামপন্থীরা নাচানাচি করে।
ধবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের উজিরপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে যান সুকান্ত। একাধিক ইস্যুতে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, “আগে যাঁরা বামফ্রন্ট করতেন এবং এখনও বামফ্রন্ট করেন, তাঁদের কাছে অনুরোধ করে বলছি বামফ্রন্টকে ভোট দেওয়া মানেই তৃণমূলকে ভোট দেওয়া। তা না হলে বিজেপিকে ভোট দিন। নাহলে ঘুর পথে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তৃণমূল করুন ও সরাসরি তৃণমূলকে ভোট দিন। আর যদি তৃণমূলকে হারাতে চান তাহলে একমাত্র নরেন্দ্র মোদীর পার্টি বিজেপিকে ভোট দিন।”
এদিনের সভা থেকে সুকান্ত আরও বলেন, “এলাকায় কোনও তৃণমূল নেতা বা দুষ্কৃতী বোমা নিয়ে আসলে তা তাদেরকেই মারুন।” রাজ্য সভাপতির সঙ্গে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব ও দলীয় প্রার্থীরা৷ গত দু’টি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীদেরকে জয়ী করেননি কুমারগঞ্জবাসী। তাই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীদের জয়যুক্ত করার আবেদন সাধারণ মানুষের কাছে জানান সুকান্ত মজুমদার।
গতকালের সভা থেকে বিজেপি নেতা বলেন যে, আগে তৃণমূল বলত খেলা হবে খেলা হবে। কিন্তু এখন আদালতে খেলা দেখাচ্ছে। ইডি সিবিআই খেলা দেখাচ্ছে। আগামীদিনে খেলা আরও মারাত্মক আকারে হবে।
যদিও, সুকান্তর এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করেছে বাম ও ঘাসফুল শিবির। সিপিএম-এর তরফে জানানো হয়েছে, চারিদিকে বামফ্রন্টের শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে। তাই হয়তো সুকান্তবাবুদের ভয় বাড়ছে৷ তার জন্য উল্টোপাল্টা বলছেন ৷ অপর দিকে, জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি সুভাষ চাকির দাবি, অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদারের এমন উস্কানিমূলক মন্তব্য না করাই উচিত।উজিরপুরে উনি যে সব উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন তার ভিডিও ফুটেজে জোগাড় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে জেলাস্তরে আইনত পদক্ষেপ করবে তৃণমূল।