তপন : গ্রামে স্বাস্থ্য কেন্দ্র থাকা সত্ত্বেও সরকারি নির্দেশিকায় দূরের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। ঘটনার প্রতিবাদে তপন ব্লকের ভাড়িলা এলাকায় বালুরঘাট-তপন রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামের বাসিন্দারা। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলে পথ অবরোধ। পরে অবশ্য পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে গ্রামবাসীদের আশ্বাস দেওয়া হলে পথ অবরোধ উঠে যায়। এদিকে পথ অবরোধের জেরে ভোগান্তির মুখে পড়েন সাধারণ মানুষ। তপনের ভাড়িলা এলাকার অভিরামপুর গ্রামের মানুষ এতদিন হরিবংশীপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে সমস্ত পরিষেবা পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ওই গ্রামের মানুষকে দূরবর্তী মালডাঙা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে ওই গ্রামের মানুষকে দূরবর্তী এলাকায় চিকিৎসা পরিষেবার জন্য যেতে হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে বুধবার পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের ভারিলা তপন – বালুরঘাট রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। তাদের দাবি হরিবংশীপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এলাকার বিভিন্ন গ্রামের মানুষদের চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে থাকেন। হঠাৎ করে সেখান থেকে অভিরামপুর গ্রামকে মালডাঙা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অভিরামপুর গ্রামের বাসিন্দাদের প্রশ্ন, হরিবংশীপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে থেকে হঠাৎ করে কেন তাদের মালডাঙা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত করা হল? মালডাঙা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র সীমান্তবর্তী এলাকায় এবং অভিরামপুর গ্রাম থেকে অনেকটা দূরে। এত দূরে গর্ভবতী মহিলাদের যাতায়াত করতে অসুবিধা হবে বলে বক্তব্য বিক্ষোভকারীদের।
গ্রামবাসীদের প্রশ্ন, তাদের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই কেন তাদের পূর্ববর্তী উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত করা হল? সেই কারণে অভিরামপুর গ্রামের বাসিন্দারা বুধবার ভারিলাতে তপন – বালুরঘাট রাজ্য সড়ক অবরোধ করে এবং হরিবংশীপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীদের ভিতরে আটকে রেখে তালা বন্ধ করে দেন এবং বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। যদিও পরে প্রশাসনের আশ্বাসে পথ অবরোধ তুলে নেন গ্রামবাসীরা।
এই বিষয়ে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক কর্মী জানান, “আমাদের হরিবংশীপুর কেন্দ্রটি দুটি ভাগ হয়ে গিয়েছে। শুধু হরিবংশীপুর নয়, হরিবংশীপুর এবং বালাপুর নিয়ে একটি অতিরিক্ত সাব সেন্টার হয়েছে। সেটি হল মালডাঙা। মালডাঙার মধ্যে যে গ্রামগুলি রয়েছে, তার মধ্যে সবথেকে দূরের গ্রাম হল অভিরামপুর। এরা প্রত্যেকে অভিরামপুরের বাসিন্দা।
তপন ব্লকের জয়েন্ট বিডিও পরিমল কুমার দাস জানান, “নতুন একটি সাবসেন্টার হয়েছে। সেখানে এলাকা ভাগ করতে গিয়ে একটি সমস্যা হয়েছে। আগের সাবসেন্টার এদের কাছে হচ্ছিল। এরা এখন আগের সাবসেন্টার ছেড়ে দূরে যেতে চাইছেন না। আমরা তাঁদের আশ্বাস দিয়েছি বিষয়টি দেখার।”