বালুরঘাট: বালুরঘাট (Balurghat) এ কে গোপালন কলোনি এলাকায় নাবালক খুনের (Murder) ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে ৫ জন। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন মুন্নি সিং(৩৬)। নাবালক খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মানস সিংয়ের সম্পর্কে মাসি হন মুন্নি। খুনের ঘটনার পাশাপাশি মুন্নি সিংয়ের বিষয়েও আলাদা করে নানা তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছে পুলিশ৷ সূত্রের খবর, এই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর বক্তব্যে নানা অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মুন্নির মূল বাড়ি বালুরঘাটের চিঙ্গিশপুরে৷ তবে সেখানে তাঁরা আর কেউ থাকেন না। মাত্র দশ বছর বয়সে মুন্নির বিয়ে হয় বিহারে। বিয়ের কয়েক মাস পর পরিবারের সদস্যরা বিহার থেকে তাকে বাড়ি নিয়ে চলে আসে। বাড়ি আসার কিছুদিন পর খাসপুরে ফের বিয়ে করেন তিনি। দ্বিতীয় পক্ষের তিন মেয়ে রয়েছে তাঁর। তবে বছর আটেক আগে থেকে তিনি স্বামীকে ছেড়ে বালুরঘাটে ভাড়া নিয়ে থাকেন। সূত্রের খবর, দীর্ঘ সময় আগে তিনি বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করতেন। যদিও বছর তিনেক আগে সেই কাজ ছেড়ে দেন। এরপর বালুরঘাট শহরের একটি বেসরকারি অনুষ্ঠান ভবনে কাজ করতে শুরু করেন। বেতন পেতেন প্রায় ৫-৭ হাজার টাকা।
সূত্রের খবর, উপার্জন আর মুন্নির জীবনশৈলীতে বিস্তর ফারাক খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। হাজার পাঁচেক টাকা বেতন পেলেও মুন্নির দু-দুটি গাড়ি ছিল বলে জানা গিয়েছে। এমনকি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। এত টাকা আসত কোথা থেকে? সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, এই মুন্নি জেলার এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ বলেও জানা গিয়েছে। ফলে এলাকায় তাঁর একটা দাপট ছিল বলে মনে করছে পুলিশ। সূত্রের খবর, দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গ ছাড়ার পর একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন মুন্নি। এদিকে মুন্নির জীবনশৈলী দেখে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় স্থানীয়দের। এত অল্প টাকা উপার্জন করেও কীভাবে বৈভবের সঙ্গে জীবন কাটত মুন্নি? প্রশ্ন জাগত স্থানীয় বাসিন্দাদের মনেও।