South Dinajpur Suicide: দু’বার অসফল, তৃতীয়বারে আর পারলেন না কেউ তাকে ধরে রাখতে, চরম সিদ্ধান্ত একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 16, 2022 | 3:52 PM

South Dinajpur Suicide: এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জানা গিয়েছে, অঞ্জুয়ারা পারভিন স্থানীয় শিহল হাইস্কুলে একাদশ পাঠরত ছিল। পড়াশোনাতেও খুব একটা খারাপ ছিল না।

South Dinajpur Suicide: দুবার অসফল, তৃতীয়বারে আর পারলেন না কেউ তাকে ধরে রাখতে, চরম সিদ্ধান্ত একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর
আত্মঘাতী ছাত্র

Follow Us

দক্ষিণ দিনাজপুর: গত দু’মাসে দুই দু’বার আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ৷ অবশেষে বুধবার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী৷ মৃতের নাম অঞ্জুয়ারা পারভিন (১৭)। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি ব্লকের কালিকামোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রসুলপুরে। বৃহস্পতিবার কুশমণ্ডি থানার পুলিশ মৃত ওই স্কুল ছাত্রীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কী কারণে ওই স্কুল ছাত্রী আত্মঘাতী হল, তা খতিয়ে দেখছে কুশমণ্ডি থানার পুলিশ।

এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জানা গিয়েছে, অঞ্জুয়ারা পারভিন স্থানীয় শিহল হাইস্কুলে একাদশ পাঠরত ছিল। পড়াশোনাতেও খুব একটা খারাপ ছিল না। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত কয়েক মাস ধরে হঠাৎই মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করে অঞ্জুয়ারা।

সারাক্ষণ বকবক করা মেয়েটি হঠাৎই নিশ্চুপ হয়ে যায় বলে বাড়ির সদস্যরা জানাচ্ছেন। এদিকে বিষয়টি পরিবারের নজরে আসতেই তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পাশাপাশি গ্রামীণ এক কবিরেরও পরামর্শ নেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু কোন কিছুতেই কিছু হয়নি৷

দু’মাসে একবার আঞ্জুয়ারা আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে। প্রত্যেকবারই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে৷ তবে পরিবারের নজরে আসায় সে যাত্রায় রক্ষা করা সম্ভব হয় তাঁকে৷ তবে বৃহস্পতিবার বিকালে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ফের গলায় ফাঁস লাগায় আঞ্জুয়ারা৷ এবার যতক্ষণে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি দেখতে পান, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। কারণ তাকে উদ্ধার করে কুশমণ্ডি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে দেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে কুশমণ্ডি থানার পুলিশ। মৃতার মামা মহুরুল মিঁঞা বলেন, “এর আগেও আঞ্জুয়ারা আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে পরিবারের লোকেদের নজরে আসায় বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি৷ তবে এবার তাকে আর রক্ষা করা যায়নি। কয়েক মাস থেকেই মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিল সে। চিকিৎসাও চলছিল।”
দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Next Article