Sukanta Majumdar: সুকান্ত পোস্ট করার পর থেকেই উধাও দম্পতি, SIR আবহে চাঞ্চল্য বংশীহারীতে
SIR in Bengal: ২০২৩ সালের নভেম্বরে বংশীহারী থানার করখা গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ মিঞা নামে বংশীহারী থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ জানান ওই দু'জনের বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, দু'বছর হয়ে গেলেও ওই দুই অনুপ্রবেশকারীর বিরুদ্ধে পুলিশ এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

বংশীহারী: এসআইআর আবহে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য। রবিবার সুকান্ত মজুমদার নিজের এক্স হ্যান্ডেল এবং ফেসবুকে দুজনের পরিচয় পত্র পোস্ট করেন। দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারী থানার করখা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান ও তাঁর স্ত্রী লাভলি বেগম নামে দুই বাংলাদেশি নাগরিকের বাংলাদেশি পরিচয় পত্র পোস্ট করেন তিনি। অভিযোগ, এরা বাংলাদেশি হওয়ার পরও অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছে। সুকান্তর অভিযোগ, ওই দুই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর বাংলাদেশি পরিচয় পত্র দিয়ে বংশীহারী থানায় অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
অভিযোগপত্র ও ওই দুই বাংলাদেশির বাংলাদেশি পরিচয়পত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। যদিও সুকান্তর অভিযোগ করা দুই বাংলাদেশির কোনও খোঁজ এদিন পাওয়া যায়নি। বাড়িতেও তালা দেওয়া ছিল।
জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে বংশীহারী থানার করখা গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ মিঞা নামে বংশীহারী থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ জানান ওই দু’জনের বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, দু’বছর হয়ে গেলেও ওই দুই অনুপ্রবেশকারীর বিরুদ্ধে পুলিশ এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
এদিন অভিযোগকারী ফিরোজ মিঞার স্ত্রী নাসিমা পারভিনও একই অভিযোগ করেন। তবে, অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী লাভলি বেগমকে এদিন সকাল থেকেই বাড়িতে পাওয়া যায়নি। সুকান্ত মজুমদারের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের পর থেকেই তাঁরা বাড়ি থেকে বেপাত্তা হয়ে যায় বলে অনুমান স্থানীয় বাসিন্দাদের।
অভিযুক্ত বাংলাদেশিদের প্রতিবেশীদের দাবি, কিছুদিন আগে তারা এসেছে। ওদের বাড়ি বাংলাদেশেই বলেই জানেন প্রতিবেশীরা। তাঁরা বলেন, “এখন আর ওদের এখানে দেখতে পাচ্ছি না।’ এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, বংশীহারী থানায় দুজন বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও, পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। সেই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার টুইটও করেছেন। তিনি বলেন, এইভাবে অনুপ্রবেশকারীরা এই দেশে এসে কোনও দুষ্কর্ম বা অঘটন ঘটাতে পারে। এর বিরুদ্ধে অবিলম্বে পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানাই।”
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, সুকান্ত মজুমদার কি পোস্ট করেছেন সেটা বিবেচ্য নয়। আদালতে তথ্য প্রমাণ দিতে হবে। পুলিশ তদন্তে যা পাবে, সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
