Balurghat news: রাতারাতি বেড়েছে আত্রেয়ীর জল, পিছিয়ে গেল নদীবাঁধের কাজ

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

May 14, 2022 | 7:24 PM

Dakshin Dinajpur: বাংলাদেশেও আত্রেয়ী নদীর উপরেও একটি নদী বাঁধ দেওয়া হয়েছে। যার ফলে সারাবছর নদীতে জল থাকে না। এতে গ্রীষ্মকালে বালুরঘাট ও কুমারগঞ্জে ব্যাপক সমস্যা হয়।

Balurghat news: রাতারাতি বেড়েছে আত্রেয়ীর জল, পিছিয়ে গেল নদীবাঁধের কাজ
ঢুকে গিয়েছে আত্রেয়ী নদীর জল

Follow Us

বালুরঘাট: হঠাৎই বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীর জল বাড়ল। আর হঠাৎ করে জল বেড়ে জেরেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ল বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীর বাঁধের কাজ। রাতের মধ্যে হঠাৎ জল বেড়ে যাওয়ায় বহু নির্মাণ সামগ্রী নদী থেকে তুলতেই পারেননি কর্মীরা। সিমেন্ট, পাথর, লোহা সহ বহু সামগ্রী ভেসেও গিয়েছে। যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেচ দফতর থেকে জানানো হয়েছে, তেমন বৃষ্টি না হলেও হঠাৎ জল বেড়ে গিয়েছে। আত্রেয়ীর উপরে তৈরি বাংলাদেশের একটি বাঁধ থেকে জল ছেড়ে দেওয়াতেই এই বিপত্তি হয়েছে বলে মনে করছে সেচ দফতর। বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীর জল ধরে রাখতে স্বল্প উচ্চতার বাঁধের কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। যা দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রায়ই খোঁজখবর নেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। সেই কাজ ক্ষতির মুখে পড়ে অনেকটাই পিছিয়ে যাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশেও আত্রেয়ী নদীর উপরেও একটি নদী বাঁধ দেওয়া হয়েছে। যার ফলে সারাবছর নদীতে জল থাকে না। এতে গ্রীষ্মকালে বালুরঘাট ও কুমারগঞ্জে ব্যাপক সমস্যা হয়। রাজ্য ও কেন্দ্রের হস্তক্ষেপেও কোনও সুরাহা হয়নি। বর্ষায় হঠাৎ করে নদীর জল ছেড়ে দেওয়ায় হরপা বানের সৃষ্টি হয়। তাই এই হরপা বানের থেকে বালুরঘাট শহরকে বাঁচাতে সুরক্ষা কবচ হিসেবে চকভবানী এলাকায় স্বল্প উচ্চতার বাধ নির্মাণের কাজ শুরু করে রাজ্য। প্রায় ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয় এই প্রকল্পের জন্য। নদীতে আড়াআড়িভাবে স্বল্প উচ্চতার বাঁধ দেওয়া হচ্ছে। সেচ দফতর, বর্ষার আগেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য রাত দিন কাজ করে যাচ্ছিল। তাজের জন্য নদীর জল আটকাতে ইউ আকৃতির বালির বস্তার প্রতিবন্ধকও করা হয়েছিল। কিন্তু তবুও এই বিপত্তি।

শনিবার সেচ দফতরের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক স্বপন বিশ্বাস, সহ কার্যনির্বাহী বাস্তুকার রঞ্জন রায় সহ অন্যান্যরা বাঁধের কাজের এলাকা পরিদর্শন করেছে। তাঁরা এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট জেলাশাসক ও রাজ্যকে পাঠিয়েছেন। এই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ সরকার বলেন, আত্রেয়ী নদীর জল হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার ফলে বাঁধ তৈরির বিভিন্ন সামগ্রী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হঠাৎ কীভাবে জল এতটা বেড়ে গেল, তা বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি।

এই বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সেচ বিভাগের মুখ্য কার্যনির্বাহী বাস্তুকার স্বপন বিশ্বাস বলেন, “রাত ১২ টার পর থেকে হটাৎ নদীতে জলস্তর বাড়তে থাকে। যার ফলে আমাদের বাঁধের কাজের অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। অনেক কিছু নদী থেকে তুলতেই পারেনি। এছাড়াও নির্মান সামগ্রীর অনেক কিছু ভেসে গিয়েছে। বৃষ্টি হলেও এত তাড়াতাড়ি জল বাড়ে না। সম্ভবত বাংলাদেশের নদী বাঁধ থেকে এই জল ছাড়া হয়েছে। এর ফলে কাজের ক্ষতি হয়েছে।”

Next Article