South Dinajpur: কুমারগঞ্জকাণ্ডে অবস্থান বিক্ষোভে বিজেপি, পথে সুকান্ত মজুমদারও

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

May 13, 2022 | 10:10 PM

Crime News: পুলিশের বক্তব্য, তদন্তে তারা জানতে পারে মাসখানেক সৎমায়ের সঙ্গে থাকছিলেন ওই মহিলা। তা নিয়ে পরিবারে ঝামেলা চলছিল।

South Dinajpur: কুমারগঞ্জকাণ্ডে অবস্থান বিক্ষোভে বিজেপি, পথে সুকান্ত মজুমদারও
প্রতীকী চিত্র

Follow Us

দক্ষিণ দিনাজপুর: বৃহস্পতিবার কুমারগঞ্জে এক আদিবাসী মহিলার অর্ধনগ্ন রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনা ঘিরে শুক্রবার উত্তপ্ত হল জেলার রাজনীতি। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ওই মহিলার এক আত্মীয়-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, অকারণে ৫ জনকে ধরেছে পুলিশ। তাঁদের ছেড়ে দিতে হবে। এই দাবি ঘিরে এদিন অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। অন্যদিকে প্রতিবাদে তিন ঘণ্টার জন্য পথ অবরোধে বসে বিজেপি। নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বৃহস্পতিবার রাতে কুমারগঞ্জের একটি ঝোঁপ থেকে এক আদিবাসী মহিলার অর্ধনগ্ন রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। যা নিয়ে শুক্রবার দিনভর তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। গ্রামবাসী ও পরিবারের অভিযোগ, ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। কিন্তু তদন্ত নেমে পুলিশ মৃত মহিলার এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করে। পুলিশের বক্তব্য, তদন্তে তারা জানতে পারে মাসখানেক সৎমায়ের সঙ্গে থাকছিলেন ওই মহিলা। তা নিয়ে পরিবারে ঝামেলা চলছিল। এরপরই এই ঘটনা। অন্যদিকে পুলিশের দাবি, এই ঘটনা আদৌ ধর্ষণ কি না তা তদন্তসাপেক্ষ।

এদিকে পুলিশের এই তত্ত্ব মানতে নারাজ গ্রামবাসী। তারই প্রতিবাদে শুক্রবার বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিকেলে সেই জায়গায় ধরনায় বসেন সুকান্ত মজুমদার। রাত প্রায় সাড়ে ৮টা অবধি এই বিক্ষোভ চলে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ধর্ষণ করে খুনের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে চাইছে পুলিশ। যদি খুন করাই লক্ষ্য ছিল, তা হলে বিবস্ত্র অবস্থায় কেন মৃতদেহ উদ্ধার হল? সারা রাজ্য জুড়ে খুন ও ধর্ষণ হচ্ছে। এ নিয়ে আমরা গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাব। যাঁকে অভিযুক্ত বলা হচ্ছে, তাঁর কোনও দোষ নেই বলেই স্থানীয়রা বলছেন। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলছেন এলাকার লোকেরা। যথাযথ তদন্ত হওয়া দরকার।”

যদিও তৃণমূল জেলা সভাপতি উজ্জ্বল বসাক বলেন, “লিশ প্রশাসন সক্রিয় রয়েছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ সমস্ত কিছু তদন্ত করে দোষীকে গ্রেফতারও করেছে। তবুও বিজেপি এটাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে। যা মানুষ প্রত্যাখ্যান করবে।” এ বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, “তদন্তে নেমে পুলিশ মহিলার এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করেছে। তাঁর কাছে থেকে রক্তাক্ত জামা, পাথর ও দড়ি উদ্ধার হয়েছে। টাকা নিয়ে ঝামেলার জেরে এই খুন বলেই ওই আত্মীয় জানিয়েছেন। এটা নিয়ে কিছু মানুষ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।”

Next Article