কুমারগঞ্জ : জঙ্গল থেকে উদ্ধার মহিলার রক্তাক্ত অর্ধনগ্ন দেহ। ধর্ষণের পর তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ ব্লকের ঘটনা। গতকাল রাতে মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। এনিয়ে কুমারগঞ্জ থানায় খুনের (Murder) অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। রাতেই দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। শুক্রবার সকালে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে শুক্রবার বিকেলে এলাকায় আসার কথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ জেলার অন্য বিজেপি নেতাদের। জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে জানিয়েছেন, গতকাল রাতেই এনিয়ে কুমারগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
বুধবার দুপুরের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলা। মৃতার শ্বশুরবাড়ি তপন ব্লকে। প্রায় একমাস ধরে কুমারগঞ্জে বাবার বাড়িতেই ছিলেন ওই মহিলা। স্বামী ও তিনি কর্ম সূত্রে ভিন রাজ্যে থাকতেন। কিছু দিন আগেই বাড়ি এসেছিলেন। বুধবার দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর বাড়ি থেকে বেরোন। তারপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। রাতভর খোঁজাখুজির পরও খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ।
মৃতার শরীরে বেশ কিছু জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যা থেকেই স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, ধর্ষণের পরই খুন করা হয়েছে ওই আদিবাসী মহিলাকে। একই অভিযোগ তুলে টুইট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারও। পরিবারের লোকেদেরও দাবি, এই ঘটনা কোনভাবেই আত্মহত্যা নয়।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ৩০২, ২০১ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আব্দুল হাসান নামে এক ব্যক্তিকে আটকও করেছে।
এবিষয়ে মৃতার দাদা বলেন, আত্মহত্যার ঘটনা নয় এটা। যেটা করলে বাড়িতেই করতে পারত। নির্জন জায়গায় যেভাবে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়েছে তাতে ধর্ষণের ঘটনার সন্দেহই বেড়েছে তাঁদের মধ্যে। পুলিশ তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা সামনে আসবে বলে তাঁদের আশা।
মৃতার এক প্রতিবেশী বলেন, কী কারণে এভাবে নির্জন জায়গায় তাঁকে খুন হতে হল তা পুলিশ তদন্ত করুক। তাহলেই সত্য ঘটনা সামনে আসবে। তবে এই ঘটনা যে খুন সে সম্পর্কে কোনও সন্দেহ নেই তাঁদের।