দক্ষিণ দিনাজপুর: ২১ জুলাই, যখন গোটা রাজ্যের তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা ধর্মতলায়, সেদিনই উল্টো ছবি দেখা গেল বালুরঘাটে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিলেন ৩০ জন। গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়ে তাঁরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নযজ্ঞে অংশ নিতেই শিবির বদল। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, শাসকদলের গ্রহণযোগ্যতা যে দলীয় কর্মীদের মধ্যেই কমছে, তার প্রমাণ। যদিও এ নিয়ে জেলা তৃণমূলের বক্তব্য, যাঁরা নিজেদের তৃণমূল বলে দাবি করে বিজেপিতে গেছেন, তাঁরা আসলে বিজেপিরই লোক।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের যুব তৃণমূলে ভাঙনের ছবি দেখা যায়। এদিন রাতে বালুরঘাট শহরের মঙ্গলপুরে বিজেপির টাউন মণ্ডল কার্যালয়ে হাজির হন ৩০ জন যুবক। যাঁরা তৃণমূল করেন। তাঁরা বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই ৩০ জনের হাতে পদ্ম-পতাকা তুলে দেন বালুঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। এছাড়াও ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী, বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার, বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক অভিষেক সেনগুপ্ত।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী সুব্রত শিকদার বলেন, “নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নে আমরাও পাশে দাঁড়াতে চাই। তৃণমূল থেকে আজ ৩০ জন এলাম। আগামিদিনে আরও অনেকেই আসবেন। ৫০ জনের উপরে আসার জন্য তৈরি।” কিন্তু ২১ জুলাই দিনটাই কেন বেছে নিলেন? উত্তরে সুব্রত বলেন, “এই দিনটাই আমাদের যোগদানের ইচ্ছা ছিল।” এ প্রসঙ্গে বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী বলেন, “নতুন প্রজন্ম ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন দলের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে। আমি খুবই খুশি। আজ আমাদের এমনিই খুব গৌরবের দিন। সাধারণ পরিবারের মেয়ে দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। যদিও শপথ গ্রহণ হয়নি এখনও। এতেই ভারতের গণতন্ত্রের মহিমা প্রমাণিত হয়। এই মহিমা অক্ষুন্ন রয়েছে। এই যে নতুন প্রজন্মের ছেলেরা আসছে, তাঁরাই এই গৌরবকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
এ বিষয়ে যুব তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মহেশ পারখ বলেন, “যারা আজ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন বলে দাবি করছেন তারা বিজেপি কর্মী ছিলেন। তৃণমূলের কর্মী কেউ ছিলেন না। লোক দেখাতে বিজেপি আবার তাদের বিজেপিতে যোগদান করিয়েছে। মানুষকে বোকা বানাতে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানের নাটক করা হয়েছে।”