দক্ষিণ দিনাজপুর: শিশু বিক্রির চক্র। কলকাতা থেকে জাল বিছিয়ে ছিল দক্ষিণ দিনাজপুরে (South Dinajpur)। প্রথমে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে কলকাতা থেকে পাঁচ মহিলা-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়। একইসঙ্গে একটি এক মাসের শিশু উদ্ধার হয়। সঙ্গে ৪ লক্ষ টাকাও। বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা সংলগ্ন বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে ছ’জনকে গ্রেফতার করে পতিরাম থানার পুলিশ। কলকাতা-সহ সংলগ্ন বিভিন্ন জেলা থেকে ছ’জনকে ধরা হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই পতিরাম থানার পুলিশকে সহযোগিতা করে সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ। শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার রাহুল দে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানেই তিনি জানান, “শিশু বিক্রির অভিযোগে পতিরাম থানার পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমে দু’জনকে ধরে। পরে আরও ছ’ জনকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি এই শিশু বিক্রির চক্রে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
শিশু বিক্রির অভিযোগে গত ১০ এপ্রিল পতিরাম থানার পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল। ধৃতদের সঙ্গে এক মহিলা, একটি শিশুও ছিল। কলকাতার কসবা এলাকার বাসিন্দা তাঁরা। একজন যুবক। যাঁর বয়স ৩৭ বছর। অন্যজন যুবতী, বয়স ৩৩। পতিরাম রোলার মোড় এলাকা থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সময়ই এক মহিলা একটি শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যায় সেখান থেকে। এরপরই ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জেরা করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পতিরাম পুলিশের হাতে উঠে আসে।
ধৃত যুবক যুবতীকে জেরা করে তার রেশ ধরেই বৃহস্পতিবার কলকাতার চারু মার্কেট, ইকবালপুর, বরানগর, হাওড়ার উত্তরপাড়া থেকে ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে এক দম্পতিও রয়েছে। অন্যায়ভাবে তারা শিশু কেনে বলে অভিযোগ রয়েছে। ধৃতদের শুক্রবার দুপুরে বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পতিরাম থানার পক্ষ থেকে আদালতের কাছে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করা হয়। যদিও ১০ দিনের হেফাজত দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বালুরঘাট আদালতের সরকারি আইনজীবী পপি দত্ত জানান, বালুরঘাট আদালতের বিচারক ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। উদ্ধার হওয়া এক মাসের শিশুটিকে চাইল্ড ওয়েল ফেয়ার কমিটির মাধ্যমে হিলির একটি হোমে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Vandalism at Polba: বাড়িতে টিভি দেখতে পারছিলেন না, তা বলে কেবল অপারেটরের উপর এমন ‘প্রতিশোধ’…