বালুরঘাট: বন্ধ থাকা বালুরঘাট হিলি রেল লাইন (Balurghat-Hili Railway) সম্প্রসারণের জন্য চলতি অর্থবর্ষের বাজেটে ১৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। আর এরপরই রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি শুরু জেলায়। তবে কেন্দ্রের এই ঘোষণায় আশার আলো দেখছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষ। হিলি বালুরঘাট রেলপথ সম্প্রসারণ নিয়ে আরও একবার খুশির হাওয়া জেলায়। জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে বালুরঘাট থেকে হিলি রেল সম্প্রসারণ কাজ শুরু হয়েও বন্ধ হয়ে যায়। জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় প্রকল্পের টাকা ফেরত চলে যায় বলে অভিযোগ বিজেপির। তবে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের তৎপরতায় এবারের বাজেটে এই বরাদ্দ বলে দাবি দলের। সুকান্ত মজুমদারও বলছেন, “জমি অধিগ্রহণ না করায় বালুরঘাট – হিলি রেল প্রকল্পের টাকা ফেরত চলে যায়। আমি ও বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী উদ্যোগ নিয়ে সে টাকা ফেরত এনেছি। এবার জেলার তৃণমূল নেতা কর্মীদের বলছি, জেলার স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রীকে বলে জমি অধিগ্রহণের কাজটা শুরু করুন।” তবে জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর সুভাষ চাকির বক্তব্য, কেন্দ্রের জন্যই বালুরঘাট হিলি রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ পাঁচ বছর পিছিয়ে গিয়েছে। জেলার এক ব্যক্তি মামলা করায় কেন্দ্র নড়েচড়ে বসেছে।
২০১০ সালে রেলমন্ত্রক বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়। বালুরঘাট থেকে ডাঙি, কামারপাড়া হয়ে হিলি পর্যন্ত মোট ৪১০ একর জমিও চিহ্নিত করা হয়। আত্রেয়ী নদী ও বেশ কয়েকটি ছোট জলাশয়ের মাঝে রেলব্রিজের পিলারও তৈরি করা হয়। তবে কাজ শুরুর বছরখানেকের মধ্যেই তা হোঁচট খায়। জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে রেলকে সমস্যায় পড়তে হয়। সম্প্রতি জেলা প্রশাসন নতুন করে সেই কাজ শুরুও করেছে। জেলাপ্রশাসন রেলমন্ত্রকের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠকও করেছে। বাজেটের পর নতুন করে রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি।
জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই প্রকল্পের ঘোষণা করেন। কিন্তু কেন্দ্র বারবার টাকা না পাঠানোয় কাজ হয়নি। এবারও হিলি রেল সম্প্রসারণে ১৯০ কোটি টাকা বাজেটে ঘোষণা হয়েছে। অথচ জেলার বুনিয়াদপুর-কালিয়াগঞ্জ, বুনিয়াদপুর-ইটাহার রেল সম্প্রসারণে সামান্য বরাদ্দ হয়েছে।”