Body Recover: মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে ভাইবোনের ঝগড়া, দাদা যে এমন কাণ্ড ঘটাবে ভাবতে পারছেন না কেউ

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 26, 2022 | 6:14 PM

South Dinajpur: পরিবারের দাবি, মায়ের কথা মতো ছেলে বাড়ির পোষ্যদের স্নানও করায়। এরপরই বেলা ১টা নাগাদ ভয়ঙ্করকাণ্ড ঘটিয়ে বসে হজরত।

Body Recover: মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে ভাইবোনের ঝগড়া, দাদা যে এমন কাণ্ড ঘটাবে ভাবতে পারছেন না কেউ
আত্মঘাতী কিশোর, কপালে হাত পরিবারের।

Follow Us

দক্ষিণ দিনাজপুর: মোবাইল ফোনে গেম খেলা নিয়ে ভাই বোনের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। মা তখন কাজে ব্যস্ত। ছেলেমেয়ের হট্টগোলে মা একটু বকাবকিই করেন। এদিন দুপুরেই ছেলের ঝুলন্ত উদ্ধার হয় এলাকারই একটি আম গাছ থেকে। এই ঘটনায় কপালে হাত পরিবারের। আত্মীয়রা জানান, মায়ের বকায় অভিমান করে হয়ত এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে ১১ বছরের ছেলে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা হরিরামপুর থানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে রবিবার। নিহত ওই কিশোরের নাম হজরত আলি। হজরত আলি চণ্ডীপুরের এইচবি হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। রবিবার সকালে মোবাইল ফোনে গেম খেলাকে কেন্দ্র করে বোনের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় হজরতের। বাবা কাজে গিয়েছিলেন। মা ঘরের কাজে ব্যস্ত। সেই সময় দুই ছেলে মেয়ের অশান্তিতে রেগে যান মা। কেন বড় দাদা হয়েও বোনের সঙ্গে সামান্য মোবাইল ফোনে গেম খেলা নিয়ে ঝগড়া করছে, প্রশ্ন করেন তিনি। ছেলেকে কিছুটা বকাবকিও করেন।

এরপর সব স্বাভাবিকই ছিল। পরিবারের দাবি, মায়ের কথা মতো ছেলে বাড়ির পোষ্যদের স্নানও করায়। এরপরই বেলা ১টা নাগাদ ভয়ঙ্করকাণ্ড ঘটিয়ে বসে হজরত। কোকোনো গ্রামপঞ্চায়েতের জাঠিগ্রামে বাড়ি হজরতদের। গ্রামেরই একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে এলাকার লোকেরা। খবর দেওয়া হয় হরিরামপুর থানায়।

পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে সোমবার ময়নাতদন্তে পাঠায়। বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে দেহটির ময়নাতদন্ত হবে। এলাকার লোকজন জানান, হজরত আলি ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল। বাবা ফজরুল রহমান দিনমজুরির কাজ করেন। ছোট থেকেই হজরতের মোবাইলের নেশা বলে জানান এলাকার লোকেরা। মোবাইলে গেম খেলার প্রতি তার আসক্তি। প্রায় প্রায়ই বোনের সঙ্গে এ নিয়ে ঝামেলাও হয়। কিন্তু তা যে এমন পরিণতি ডেকে আনবে ভাবতেই পারছেন না আত্মীয়রা।

এ বিষয়ে হজরতের এক আত্মীয় নাজিমুল ইসলাম বলেন, “ভাই বোনে সকালে মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে একটু ঝগড়া করে। তারপর আর খেয়াল করেনি কেউ। মা কাজে ব্যস্ত, বাবাও কাজে চলে গিয়েছিল। মা দুপুরে ছেলেকে বলেন ভেড়াগুলিকে একটু স্নান করিয়ে দিতে। সেসব করে সেই দড়ি নিয়ে ও চলে যায়। আম গাছে গিয়ে ঝুলে পড়ে। মা একটু বকেছিল, তবে তেমন কিছু নয়। যেটুকু মা বলতে পারেন, সেটুকুই বলেছেন। মুখেই যা বলেছিলেন। মনে হয় তাতে ছেলে রাগ করেছিল। এরপর এই ঘটনা।”

Next Article