Balurghat: রাজ্য-কেন্দ্র বিবাদে আটকে রেল লাইন সম্প্রসারণ, ১২ পর শুরু হল কাজ

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Sep 27, 2022 | 12:05 PM

Balurghat: যদিও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই বালুরঘাট হিলি রেললাইন সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

Balurghat: রাজ্য-কেন্দ্র বিবাদে আটকে রেল লাইন সম্প্রসারণ, ১২ পর শুরু হল কাজ

Follow Us

বালুরঘাট: দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান।অবশেষে পুজোর পর থেকে বালুরঘাট হিলি রেললাইন সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিকরণ প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, আগামী দেড় বছরের মধ্যে হিলি বালুরঘাট রেললাইন সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া শেষ হবে। সোমবার রাত্রিবেলা বালুরঘাট স্টেশন পরিদর্শনে এসে এমনটাই জানালেন উত্তর-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার আনশুল গুপ্তা। ২০২৪ মার্চের আগেই সম্পূর্ণ কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি ৷ এ দিকে উত্তর-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের এমন মন্তব্যে ফিরে একবার আসার আরও দেখছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাবাসী। যদিও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই বালুরঘাট হিলি রেললাইন সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানচিত্রে ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে রেল স্থান পায়। প্রথমে কলকাতাগামী একটি ট্রেন দিনে চলাচল করলেও ধীরে ধীরে তা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে জেলার সীমান্তবর্তী হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের দাবি ছিল বরাবরই। যাত্রী পরিষেবা তো বটেই পণ্য পরিবহনের কথা মাথায় রেখে এই দাবি উঠেছিল। ২০১০ সালে রেল মন্ত্রক ঘোষণা করে বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণ করা হবে। ঘোষণার পরই এই কাজে বরাদ্দ মেলে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। বালুরঘাট থেকে ডাঙি হয়ে কামারপাড়া দিয়ে হিলি পর্যন্ত রেলপথের সম্প্রসারণের জন্য জমি চিহ্নিত হয় মোট ৪১০ একর। আত্রেয়ী নদী ও বেশ কয়েকটি ছোট জলাশয়ের মাঝে রেলব্রিজের পিলারও তৈরি করা হয়। তবে কাজ শুরুর বছর খানেকের মধ্যেই তা মাঝ পথে থমকে যায়।

কারণ রেল মন্ত্রক নিজে জমি অধিগ্রহন করে নেমে অসফল হয়। ২০১২ সালে জমি অধিগ্রহণ করতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে রেল। অবশেষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমির পরিদর্শন, মাপজোক, জমির সরকারি মূল্য নির্ধারণ সহ অন্যান্য প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১৫৫২ টি প্লটের জমি মালিকদের মধ্যে ২১ জনের জমি দিতে আপত্তি তোলেন। সমস্যা সমাধানে তাদের হেয়ারিং করা হয়। সেই জটিলতা কাটতেই সমস্ত তথ্য পাঠানো হয় রেলকে।

রেলের পক্ষ থেকে সন্মতি মিলতেই জেলা প্রশাসন গেজেটেড নোটিফিকেশান জারিও করে। তবে ফের সেই বালুরঘাট হিলি রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ বিশবাঁও জলে চলে যায়। একে অপরের উপর দায়ভার চাপানোর পর্ব শুরু হয়। পরবর্তীতে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিবাদে সেই কাজ একপ্রকার কোমায় চলে যায়। পরবর্তীতে দেখা যায় এই প্রকল্পে নাম মাত্র বরাদ্দ করা হয়। এরই মধ্যে এই প্রকল্প নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়। এরপরই হাইকোর্টের নির্দেশে নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র ও রাজ্য ৷

এর মধ্যেই গতকাল রাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আসেন উত্তরপূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার আনশুল গুপ্তা। সঙ্গে ছিলেন বালুঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। জেলার বুনিয়াদপুর, গঙ্গারামপুর স্টেশন পরিদর্শনের পাশাপাশি বালুরঘাট রেল স্টেশন পরিদর্শন করেন জিএম।

এ বিষয়ে উত্তর-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার আনশুল গুপ্তা বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জেলা প্রশাসনের তরফে চিঠি পেয়েছেন। দ্রুত এই কাজ শুরু হবে। এবং আগামী ২০২৪ সালের মার্চের আগেই এই কাজ সম্পন্ন হবে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা হচ্ছে এবং চলছে। দ্রুত জমি অধিগ্রহণ পক্রিয়া শুরু করা হবে জেলা প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে।’

এ বিষয়ে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘বালুরঘাট হিলি রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ আগামী দেড় বছরের মধ্যেই শেষ হবে। এছাড়াও বুনিয়াদপুর ও গঙ্গারামপুরে দ্বিতীয় প্লাটফর্ম ও গঙ্গারামপুরে ওভার ফুটব্রিজের কাজও হবে। জিএম এই কাজ গুলি করার কথা দিয়েছেন।’

অন্যদিকে,এবিষয়ে রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘হাইকোর্টের বিষয়টি ঠিক জানা নেই। তবে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কি করণীয় তা করার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি এই কাজ নিয়েছিলেন। কাজও শুরু হয়েছিল দ্রুততার সঙ্গে৷ তিনটে ব্রিজের পিলারের কাজও হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে যখন অন্য সরকার ক্ষমতায়। তখন তারাই এই কাজ বন্ধ করেছিল৷’

Next Article