দক্ষিণ দিনাজপুর: ছেলেধরা সন্দেহে (Suspicion of theft) এক মহিলাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার দুপুরে পতিরাম থানার বোল্লা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পতিরাম থানার পুলিশ। যান ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সোমনাথ ঝাঁ। পরে পুলিশ ওই মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে তাঁকে পাঠানো হয়। পতিরাম থানার পুলিশ ঘটনা খতিয়ে দেখছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, শুধু পতিরাম নয়, জেলার একাধিক জায়গা থেকেই এই ধরনের অভিযোগ উঠে আসছে। কুমারগঞ্জ, তপন, বালুরঘাট-সহ বিভিন্ন এলাকায় ছেলেধরা গুজব ছড়াচ্ছে। যার জন্য প্রাথমিক স্কুলগুলিতে উপস্থিতির হারও অনেকটাই কমেছে বলেও একাংশের দাবি। যা উদ্বেগে রাখছে জেলা প্রশাসনকে।
বৃহস্পতিবার সকালে পতিরাম থানার অন্তর্গত বোল্লা মন্দির সংলগ্ন এলাকায় এক অচেনা মহিলা আসেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা ওই মহিলাকে নাম, ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু ওই মহিলা কোনও উত্তর দিতে পারেননি। এদিকে তাঁর কাছে দুধের বোতল ও খাবার সামগ্রী দেখে সন্দেহ হয় এলাকার লোকজনের। এরপরই তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করেন স্থানীয়রা। কেন বোল্লা এলাকায় এসেছে তা জানার চেষ্টা করেন।
এলাকাবাসীর দাবি, ওই মহিলার কথায় প্রচুর অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়। এরপরই তাঁকে আটকে ফেলেন এলাকার লোকজন। মারধর করা হয়। খবর পৌঁছয় পতিরাম থানা। ঘটনাস্থলে যান ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সোমনাথ ঝাঁ নিজে। পরে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে, ওই মহিলা ভবঘুরে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ সরকার বলেন, “ওই মহিলার কাছে দু’টি দুধের বোতল ও কিছু খাবার ছিল। অথচ সেই খাবার নিজে খাচ্ছিলেন না তিনি। কাউকে খাওয়ানোর জন্য হয়তো এনেছিলেন। ওনার গতিবিধি বেশ সন্দেহজনক ছিল। তাতেই এলাকার লোকজন ওনাকে আটকে রাখেন। পরে পুলিশ এসে থানায় নিয়ে যায়।”
ডিএসপি হেড কোয়ার্টার সোমনাথ ঝাঁ বলেন, “ছেলেধরা সন্দেহে এক মহিলাকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে বোল্লায়।” তিনিই জানান, ওই মহিলা ভবঘুরে। সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গায় ছেলেধরা গুজব ছড়িয়েছে। যাঁরা এমন গুজব ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছেন, তাঁদের উপর নজর রাখছে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। প্রয়োজনে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বিষয় নিয়ে সাধারন মানুষকেও সচেতন করা হচ্ছে।