আলিপুরদুয়ার: যত দিন যাচ্ছে, পাহাড়ের লড়াইটা আরও জোরদার হয়ে উঠছে। মিছিল, মিটিংয়ের পর জনসভা, পাল্টা জনসভার পালা চলছে। রবিবার আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ার প্রগতি ময়দানে সভা করবেন বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। শনিবার থেকেই তার প্রস্তুতি তুঙ্গে।
উল্লেখ্য, রবিবারই তরাইয়ের সুকনায় বিনয় (Binoy Tamang), অনীতদের জনসভা। পাহাড়ের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের নির্বাচন পাহাড়ের মানুষদের জন্য বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ। নেতা খোঁজার সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছেন পাহাড়বাসী। একদিকে, বিনয় তামাং অপরদিকে বিমল গুরুং। আপাতত দুপক্ষের বিবৃতি পাল্টা বিবৃতির লড়াইয়ে জমে উঠেছে পাহাড়ের রাজনীতি।
গুরুংয়ের প্রত্যাবর্তনও এবারের নির্বাচনে বিশেষ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তিন বছর পর প্রকাশ্যে এসেই গত রবিবার শিলিগুড়ির সভামঞ্চ থেকে বিমল গুরুং বলেছিলেন, “মমতাকে জেতান…”
আবার এই রবিবার আলিপুরদুয়ারে সভা গুরুংয়ের। ধীরে ধীরে ‘পাহাড়’এ উঠছেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, পাহাড়ে ফের নিজের পথ প্রশস্ত করছেন গুরুং। তাঁর সভা ঘিরে প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। জেলার প্রান্তিক ব্লক কুমারগ্রাম থেকে শুরু করে জলপাইগুড়ির জেলার বাগরাকোট পর্যন্ত বিস্তীর্ণ ডুয়ার্সের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থকদের ওই জনসভায় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বলে দাবি করেছেন উদ্যোক্তারা।
এখানে গুরংয়ের সভার আবার অন্য রাজনৈতিক তাত্পর্য রয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে মাদারিহাট বিধানসভা আসনটিতে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের ভিত আলগা করতে মাদারিহাট বিধাসভা কেন্দ্রের বীরপাড়াকেই বিমল গুরুং বেছে নিয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক ওয়াকিবহল মহল।
ইতিমধ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে বঞ্চনা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ তুলে আগামী বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের হাতকে শক্ত করার বার্তা দিয়েছেন বিমল গুরুং। গত রবিবার সভায় আসতে দেরি হয়েছিল গুরুংয়ের। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা সত্ত্বেও গুরুংপন্থীরা মাঠ ছাড়েননি। ভিড়ে ঠাসা মাঠে মমতাকে জেতানোর বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।
রাজনৈতিক মহল অবশ্য বলছে, তিনি এলেন, পরিস্থিতিও দেখলেন। তবে পাহাড়ে আবার জয় করতে পারবেন কি?