Suicide: ‘কোভিডকালে ব্যবসা নেই’, সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী সোনা ব্যবসায়ী

Siliguri: "করোনার দুই বছরে অনেক টাকা লোন হয়ে গেছে। এই লোনের টাকা আমার পক্ষে এখন শোধ করা সম্ভব নয়... চাপ দিচ্ছে, আমি রাস্তা খুঁজে পাচ্ছি না।''

Suicide: 'কোভিডকালে ব্যবসা নেই', সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী সোনা ব্যবসায়ী
দোকানের ভিতর আত্মঘাতী স্বর্ণ ব্যবসায়ী। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2021 | 8:40 PM

শিলিগুড়ি: “করোনার দুই বছরে অনেক টাকা লোন হয়ে গেছে। এই লোনের টাকা আমার পক্ষে এখন শোধ করা সম্ভব নয়… চাপ দিচ্ছে, আমি রাস্তা খুঁজে পাচ্ছি না।” এমনই এক সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী হলেন এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। শিলিগুড়িতে এনটিএস মোড়ে সোনার দোকানে এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। মৃত ব্যবসায়ীর নাম তপন পাল (৫৪)।

করোনাকালে ( Corona Situation)  কাজ হারিয়েছেন প্রচুর মানুষ। অনেকে বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন অন্য পেশা। আত্মহত্যার ঘটনাও বহু। তাতে সংযুক্ত হল শিলিগুড়ির স্বর্ণ ব্যবসায়ী।

এদিন সকালে দোকানের এক কর্মী এসে দেখেন তপন পালের সোনার দোকানটি খোলা থাকলেও বাইরে থেকে তালা লাগানো রয়েছে। তাঁর সন্দেহ হওয়ায় দোকান মালিকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে পরিবারের লোকেরা এসে তালা ভেঙে দোকানে ঢোকেন। দোকানে ঢুকে চমকে ওঠেন তাঁরা। দেখেন তপনবাবুর ঝুলন্ত দেহ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দোকান খোলার জন্যই তপন বাবু সাড়ে ৯ টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন।

এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ভিড় জমান ঘটনাস্থলে। পরে পুলিশ এসে দোকানের ভেতর থেকে উদ্ধার করে মালিক তপন পালের ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে ওই ব্যবিসায়ী লিখেছেন, কোভিডকালে ব্যবসা নেই বললেই চলে। এরই মাঝে পাওনাদারদের চাপ রয়েছে। দোকান ভাড়া কমার বদলে উলটে বাড়ানো হয়েছে। এর জেরেই চাপ নিতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।

এক স্থানীয়ের কথায়, “খবর পেলাম, এনটিএস মোড়ে স্বামীজি জুয়েলার্সের মালিক সুইসাইড করেছেন। দোকানেই গলায় দড়ি দেন। শুনলাম দোকানের ভেতর ঢুকে ভেতর থেকে প্রথমে দোকানের দরজা বন্ধ করে দেন। তার পর এই ঘটনা। দশটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে।”

এর পর পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। যিনি কালকেও দোকানদারি করেছেন, সবার সঙ্গে কথা বলেছেন, তার মধ্যে কী হল যে উনি আত্মহত্যা করলেন? প্রশ্ন ব্যবসায়ী সমিতির। তাঁদের দাবি, আত্মহত্যা নাও হতে পারে। এই মৃত্যুর আসল রহস্য সামনে আসা দরকার।

এদিকে মৃতের পাশে পড়ে থাকা একটি চিঠিতে লেখা রয়েছে, “আমি সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যদি পারেন তো আমাকে ক্ষমা করবেন। আর বেশি কিছু লিখলাম না।” চিঠিতে আরও লেখা, মাসিক আয় কমেছে এই করোনাকালে। এখন সংসার চালাতে তিনি হিমশিম খাচ্ছেন। তার উপর দেনা তাঁর উপর বেশি চাপ তৈরি করেছে। যদিও তাঁর এই আত্মহত্যা মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয়রা। শোকের ছায়া ব্যবসায়ীর পরিবারে। ব্যবসায়ী মহলও দুঃখপ্রকাশ করেছেন। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশও মনে করছে এটা আত্মহত্যার ঘটনা।

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: এবার আমিও ছটপুজোর ব্রত করেছি, শুধু চা খেয়ে আছি: মমতা