শিলিগুড়ি: ৬০ বিঘা সরকারি জমির বেআইনি কাগজপত্র তৈরি করে বিক্রির অভিযোগ। গ্রেফতার তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পুর্ত কর্মাধ্যাক্ষ এবং হাতিঘিষা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আসরফ আনসারি। এদিন তাঁকে আদালতে তোলা হয়।
ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতেই তীব্র অস্বস্তিতে শাসক শিবির। এর আগে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে ব্লকের সভাপতি দেবাশিস প্রামাণিক ও কার্যকরী সভাপতি গৌতম গোস্বামী গ্রেফতার হন। গাজলডোবাতেও একাধিক রিসর্টে অভিযান চালানো হয়। এবার নকশালবাড়ি এলাকায় জমি চক্রে শাসক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত বছর খানেক আগে। সূত্রের খবর, এলাকার বাসিন্দা অনিতা রানি ছেত্রীকে একটি জমি বিক্রি করেন আসরফ। প্রতারিত হয়েছেন বুঝেই অনিতা অভিযোগ করেন। তদন্ত শুরু হয়। এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রী জমি দখল নিয়ে সরব হতেই এই আসরফ ওরফে মিন্টু উল্টে অনিতা রানি ছেত্রী এবং স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত সরকারের বিরুদ্ধেই জমি দখলের অভিযোগ দায়ের করেন। গত ১৯ জুলাই অনিতা ও সুব্রতকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু কাগজপত্র খতিয়ে দেখে আদালত তাঁদের জামিন দেয়৷ এরিপরেই অনিতা ও সুব্রতর দেওয়া কাগজপত্রের ভিত্তিতে তদন্ত এগিয়ে পুলিশ ওই দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা পূর্ত কর্মাধ্যাক্ষকে গ্রেফতার করে।
সুব্রত এদিন জানান, “এলাকায় শাসক নেতা হিসাবেই পরিচিতি রয়েছে আসরফের। জমির কারবার করে এভাবে একাধিক জাল দলিল বানিয়ে সরকারি জমি বিক্রি করেছে। আমরা সোচ্চার হতেই আমাদের গ্রেফতার করানো হয়। আমার কাছে একাধিক নথি রয়েছে যাতে ওই নেতা টাকার বিনিময়ে জমি বিক্রি করেছেন তা স্পষ্ট। আমার নামে কোনও জমিই নেই। মিথ্যা মামলায় আমায় ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছিল। আমরা ওর শাস্তি চাই। এলাকায় জমি বিক্রি ছাড়াও ভিন রাজ্যের অনেকের কাছেই ওই নেতা এভাবে জমি বিক্রি করেছিল।” অন্যদিকে ধৃত তৃণমূল নেতা জানান, “আমি বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে লড়াই করি। তাই আমার বিরুদ্ধে ভূমি রাজস্ব দফতর টাকা খেয়ে মিথ্যা মামলা করেছে। আমি নির্দোষ।”