শিলিগুড়ি: রাজ্যের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসি’র বৈঠক ডাকেন রাজ্যপাল নিযুক্ত অস্থায়ী উপাচার্য। তাকে কেন্দ্র করেই তুলকালাম উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যত পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ হয়ে যায়। ইসি’র বৈঠকের আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছন এক এসএসবি কর্তা ও একাধিক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। বিভিন্ন গেটে মোতায়েন করা হয় বাহিনী। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন? তৃণমূলের অস্থায়ী শিক্ষাকর্মীরা প্রশ্ন তুলতেই SSB জওয়ানেরা জানান, নিরাপত্তার কারণে নয়, অন্য কাজে এসেছেন তাঁরা। পুলিশ কর্মীদের দেখেও তুমুল বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের অস্থায়ী কর্মীরা।
এদিকে সকাল এগারোটা থেকে রাজ্যপালের প্রতিনিধিসহ উপাচার্য এবং কয়েকজন আধিকারিক ইসি মিটিং করতে অপেক্ষা করলেও কোরাম না হওয়ায় বৈঠক ভেস্তে যায়। এদিনের বৈঠকেই সুবীরেশ জমানায় নিয়োগ হওয়া একাধিক আধিকারিকের বিষয়ে ক্যাগ রিপোর্টে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল তা আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। এছাড়া অস্থায়ী উপাচার্য বেতন পাচ্ছেন না, সেই সংক্রান্ত বিষয়েও কথা হত।
বৈঠক ভেস্তে গেলেও আন্দোলন থামেনি। তৃণমূলের অস্থায়ী শিক্ষাকর্মী ইউনিয়ন দাবি তোলে, বেআইনি বৈঠক করার চেষ্টা হচ্ছে। আর বৈঠক করলে অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বাড়তে হবে। এ নিয়ে সকাল থেকেই আন্দোলন চলতে থাকে। অফিসারেদের একাংশও আন্দোলনকারীদের আশপাশেই ছিলেন। তাঁরাও জানান, রাজ্যের আপত্তি থাকলেও বৈঠক হচ্ছে। ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে আলোচ্য বিষয় প্রকাশ্যে কেন আনা হচ্ছে? প্রশ্ন তোলেন আধিকারিকরা।
বিকেলে রাজ্যপালের প্রতিনিধি সুপ্রিম কোর্টের সলিসিটর জেনারেল বের হওয়ার সময় তাঁকেও আটকে দেওয়া হয়। এরপর দুপক্ষে বেশ কিছুক্ষণ চাপানউতোর চলে। এরপর তাঁকে বের হতে দিলেও অবরুদ্ধ থাকেন উপাচার্য সি রবীন্দ্রন এবং রেজিস্ট্রার স্বপন রক্ষিত। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিক্ষোভ এখনও চলছে।