UPSC Exam: ‘বাংলার জন্য কাজ করতে চাই’, UPSC-তে রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করে বলছেন শিলিগুড়ির চৈতন্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: সোমনাথ মিত্র

May 24, 2023 | 8:54 PM

UPSC Exam: আইপিএস না হতে পারলেও যে দায়িত্বই কাঁধে এসে পড়বে তাই পালন করতে প্রস্তুত বলে তিনি জানাচ্ছেন। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন নতুন কাজে যোগ দেওয়ার জন্য।

UPSC Exam: ‘বাংলার জন্য কাজ করতে চাই’, UPSC-তে রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করে বলছেন শিলিগুড়ির চৈতন্য
চৈতন্য খেমকার

Follow Us

শিলিগুড়ি: উচ্চমাধ্যমিক ( Higher Secondary Result) পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন এই বাংলাতেই। এবার সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় (Civil Service Examination) হয়েছে চোখ ধাঁধানো ফল। গোটা দেশের মধ্যে মেধাতালিকায় ঠাঁই হয়েছে ১৫৮ নম্বরে। UPSC-তে বাংলার মধ্যে সম্ভাব্য প্রথম শিলিগুড়ির চৈতন্য খেমকার। প্রশিক্ষণ সেরে শীঘ্রই যোগ দিতে যান পুলিশ সার্ভিসে। হাতেগোনা যে কজন এই রাজ্য থেকে পাশ করেছেন তাঁদের মধ্যে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্ক চৈতন্যর। চেষ্টা চলছিল ২০২০ সাল থেকে। অবশেষে মিলল সাফল্য। অভাবনীয় এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত চৈতন্য বলেন, “আমার খুবই ভাল লাগছে। এক ভাল ফল হবে ভাবিনি। একেবারে বাংলার মধ্যেও টপার হয়ে যাব ভাবিনি। মন বলছিল ভাল ফল হবে, ব়্যাঙ্ক করতে পারব। কিন্তু, জানতাম না কী হবে। আমি তৃতীয়বারের জন্য পরীক্ষা দিলাম। অবশেষে সাফল্য পেয়ে ভালই লাগছে। মা-বাবাও খুব খুশি।”

শিলিগুড়ির ডন বস্কো স্কুলে উচ্চমাধ্য়মিক পর্যন্ত পড়াশোনা। তারপর উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি দিল্লিতে। তারপর চাকরি একটি বহুজাতিক সংস্থায়। এবার ইউপিএসসি ক্র্যাক করার পর ট্রেনিংয়ের জন্য মুসৌরি যেতে হতে পারে। তারপর যেখানে পোস্টিং হবে থাকতে হবে সেখানেই। কিন্তু, আইপিএস নাকি আইএএস? চৈতন্য হতে চান আইপিএস। তিনি বলেন, “আমি আইপিএস-এ যোগ দিতে চাই। ব়্য়াঙ্ক যা আছে তাতে পেয়ে যাওয়ার কথা। এবার দেখা যাক। তবে আইএএস ও আমার পছন্দ তালিকায় রয়েছে।”

তবে আইপিএস না হতে পারলেও যে দায়িত্বই কাঁধে এসে পড়বে তাই পালন করতে প্রস্তুত বলে তিনি জানাচ্ছেন। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন নতুন কাজে যোগ দেওয়ার জন্য। স্পষ্টতই বলছেন, “আমার কাঁধে যাই দায়িত্ব এসে পড়বে আমি তাই দায়িত্ব সহকারে করার চেষ্টা করব। কাজ করতে চাই এই বাংলাতেই। আমার পছন্দের রাজ্য হিসাবে বাংলাকেই রেখেছি।” একইসঙ্গে এদিন টিভি-৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে আগামীর পরীক্ষার্থীদের জন্যও দিচ্ছেন হাল না ছাড়ার পরামর্শ। খানিক পরামর্শের সুরেই চৈতন্য বলছেন, “লেখা পরীক্ষায় পাশ করাই সবথেকে কঠিন। কয়েক বারের চেষ্টাতে সফল না হলেও হাল ছাড়া উচিত নয়। লেগে থাকতে হবে। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন করে পড়াশোনায় জোর দিতে হবে।”

সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার্থীদের চোখ ধাঁধানো ফলে উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জানিয়েছেন শুভেচ্ছাবার্তাও। রাজ্যের সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিসেস স্টাডি সেন্টার থেকে মেধা তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন ৭ জন। তাঁদেরও শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন মমতা। এমনকী এই শিক্ষাকেন্দ্র তৈরির জন্য কয়েক বছর আগে নেওয়া সরকারি উদ্যোগের কথাও ওই টুইটে মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।

Next Article