শিলিগুড়ি: তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় কলম ধরেছেন সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক তথা সিপিএমের মুখপত্র ‘গণশক্তি’র ভূতপূর্ব সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের (Anil Biswas) কন্যা অজন্তা বিশ্বাস (Ajanta Biswas)। তাঁর ‘বঙ্গ রাজনীতিতে নারী শক্তি’ শীর্ষক প্রতিবেদনে প্রাক স্বাধীনতা পর্ব থেকে সাম্প্রতিককালের রাজনীতিতে মহিলা রাজনীতিকদের অবস্থান প্রসঙ্গে প্রতিবেদন নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক জল্পনা। কেউ কেউ এক পা বাড়িয়ে এও বলে দিচ্ছেন এবার হয়ত অধ্যাপিকা নাম লেখাতে পারেন তৃণমূলে। এ নিয়ে অবশ্য় নীরব ছিল আলিমুদ্দিন। অবশেষে নীরবতা ভঙ্গ করলেন প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakrabarty)।
শুক্রবার শিলিগুড়ি থেকে অজন্তা-বিতর্কে মন্তব্য করলেন সুজন। Tv9 বাংলাকে সুজনের নিশানায় অবশ্য অজন্তা নন, তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলা। তাঁর কটাক্ষ, ‘জাগো বাংলা জেগে উঠেছে।’ তবে অনিল -কন্যাকে নিয়ে নরম সুর সিপিএম নেতার। বলেন, ‘অজন্তা বিশ্বাস ভাল মেয়ে। ওর লেখা একটু দেখেছি। বাকিটা দেখে বলব। আমি শুনেছি তিন কিস্তি লিখেছেন।’ তার পর সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিকে তাঁর কৌতূহলী প্রশ্ন, ‘অনলাইনে পাওয়া যাবে এই প্রতিবেদন?’
এর আগে ‘জাগো বাংলা’য় অজন্তার লেখা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন পত্রিকার সম্পাদক তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বলেন, “বিজেপির বিরুদ্ধে যারা লড়তে ইচ্ছুক, তাঁদের এটা একটা পদক্ষেপ বলা যেতে পারে।” তিনি আরও যোগ করেন, বিজেপি এখন প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। তাদের মানুষ বিতাড়িত করছে। আর অজন্তা দেবীর ‘পুরনো পরিচয়’ নিয়ে কথা হচ্ছে।
এদিকে আলিমুদ্দিন এই বিতর্ক থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছিল। অবশেষে নীরবতা ভঙ্গ করলেন সুজন চক্রবর্তী। এদিন মমতার দিল্লি সফর নিয়েও কটাক্ষ করেন বাম নেতা। বলেন, অনবরত বিজেপি বিরোধী হয়ে যদি কেউ কাজ করে থাকে সেটা বামেরা। বিরোধী জোট প্রসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, “মমতা বলেছিলেন পাওয়ার, চিদম্বরম বৈঠক ডাকবেন। ডাকলেন কি? উনি দু’মাস অন্তর কেন, ঘনঘন দিল্লী যান। ঘুরে আসুন। বাংলায় লকডাউন। কাজ নেই মুখ্যমন্ত্রীর।” আরও পড়ুন: ‘বাবার মুখ দেখিয়ে ভোট জেতেননি,’ তৃণমূল বিধায়ককে মারের হুমকি দলেরই বিধায়কের!