Dev: চোখে সানগ্লাস, হাসিমুখে সবে বেরবেন বিমানবন্দর থেকে, হঠাৎ উঠল ‘জয় শ্রীরাম’, দেব কী করলেন জানেন?
Dev: দেব জানান, "দশ বছর হয়ে গেল রাজনীতিতে। আমরা জয় শ্রী রাম বলতেও কোনও অসুবিধা নেই। আমার মনে হয় রাম ঠাকুর ভারতবাসী। আমরা অনেক দরগাতে যাই। অনেক মুসলিমরা শিরডি সাই বাবাতেও যান। তাই বলব ভারতবাসীকে ধর্ম শেখাতে আসবেন না।"
শিলিগুড়ি: চোখ রোদ চশমা। চেক শার্ট। বিমান থেকে সবে নেমেছেন দেব। গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গে। বের হতে যাবেন বিমান বন্দর থেকে। আচমকাই উঠল ‘জয় শ্রীরাম’। ক্রমাগত সেখানে অপেক্ষারত বিজেপি কর্মীরা ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারীকে দেখে দিতে শুরু করলেন স্লোগান। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করলে দেব যখন তাঁর উত্তর দিচ্ছিলেন সেই সময়ও পিছন থেকে ক্রমাগত ‘জয় শ্রীরাম’ দিচ্ছিলেন তাঁর। এরপর দেব কী করলেন জানেন?
প্রসঙ্গত, রামনবমীর দিন ঘাটালে রাম মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন দেব। ওই কেন্দ্রেরই বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় তা নিয়ে বিস্তর অভিযোগও করেছিলেন। বলেছিলেন, “আজ সকালে দেখেছি তিলক লাগিয়ে একজন রাম নবমী পালন করছে। এরা রাজনীতির জন্য ধর্মের বদল করে দেয়।” সেই উত্তর দিতে গিয়ে হাসিমুখে দেব জানিয়েছিলেন, “ধর্ম মানুষকে শান্তির বার্তা শেখায়। যে কোনও ধর্ম মানুষকে বাঁচিয়ে রাখা শেখায়। আমি সেই ধর্মকে বিশ্বাস করি।” এরপর দেবকে প্রশ্ন করেন, হিরণের অভিযোগ ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল? এই প্রশ্নের উত্তরে দেব হেসে বলেন,”জয় শ্রীরাম” ফলত, ধর্মের রাজনীতি যে তিনি কোনও ভাবেই সমর্থন করেন না বা শ্রীরাম কারোর একার নয় বিষয়টিকে কার্যত হাসি দিয়েই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আজও সেই ছবির কিন্তু ব্যতিক্রম হয়নি। দেবকে দেখে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা স্লোগান দিতেই হাসিমুখে বের হন তিনি। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে হাত মেলান। পরে জানান, “দশ বছর হয়ে গেল রাজনীতিতে। আমরা জয় শ্রীরাম বলতেও কোনও অসুবিধা নেই। আমার মনে হয় রাম ঠাকুর ভারতবাসী। আমরা অনেক দরগাতে যাই। অনেক মুসলিমরা শিরডি সাই বাবাতেও যান। তাই বলব ভারতবাসীকে ধর্ম শেখাতে আসবেন না। ” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “আর কর্মীরা? দেবকে দেখলে একটু স্লোগান হবে না এটা কেমন কথা। দেব জানে কীভাবে ব্যাপারটা হ্যান্ডেল করতে হয়। আমার মনে হয় সব কিছু রাগ-অভিমান দিয়ে হয় না। ভালবাসা দিয়েও হয়।” দেব বললেন, “যে বা যাঁরা স্লোগান দিয়েছেন তিনি বিজেপি কর্মী নয় ভারতবাসী। বড় বড় নেতারা বিভাজন করে রাখেন। ওনারা ভারতবাসী। তৃণমূল-বিজেপি পরে।”