দার্জিলিং: বাংলার বুকে গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো চলবে আর কয়েকদিনের মধ্যেই। সেই প্রস্তুতি প্রায় শেষ। তবে মাটির তলায় আস্ত রেলের প্লাটফর্ম, স্টেশন- এমন দৃশ্য দেখা যায়নি এখনও। মেট্রো নয়, বাংলাতেই এবার ‘পাতালঘরে’ তৈরি হচ্ছে আস্ত রেল স্টেশন। বাঙালির প্রিয় পর্যটন কেন্দ্র দার্জিলিং যাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে এই স্টেশন। উত্তর-পূর্ব রেলের এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে অনেক দিন আগেই। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে রেল পথে জুড়ে যাবে পাহাড়ে ঘেরা সিকিম। সেই প্রকল্পের মধ্যেই তৈরি হচ্ছে দেশের প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড রেল স্টেশন। পাহাড়ি এলাকায় মাটির নীচে গিয়ে থামবে ট্রেন। ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে সেই টানেল। কাজ প্রায় শেষের পথে। একটি ২৪ কোচের ট্রেন দাঁড়াতে পারবে, এমন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ওই টানেলে।
বাংলা ও সিকিমের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা পোক্ত করতে এই রেল যোগাযোগ চালু হবে। প্রজেক্ট ডিরেক্টর মহিন্দর সিং জানিয়েছেন, প্লাটফর্মটি হবে ৬২০ মিটার লম্বা আর টানেলের মোট দৈর্ঘ্য সাড়ে ৬০০ মিটার। ফলে ২৪ কোচের ট্রেন দাঁড়ালেও কোনও সমস্যা হবে না। টানেলের ভিতরে থাকবে ভেন্টিলেশনের যথাযথ ব্যবস্থা, যাতে যাত্রীদের কোনও অসুবিধা না হয়। স্টেশন থেকে বাইরে বেরনোর রাস্তাও তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যেই।
জানা গিয়েছে, দার্জিলিং ও গ্যাংটকের আলাদা আলাদা রাস্তা বেরবে এই স্টেশন থেকে। পর্যটকরা শিলিগুড়িতে না নেমে নামতে পারবেন তিস্তা বাজারের এই স্টেশনে। তারপর সেখান থেকে মাত্র ২ ঘণ্টায় দার্জিলিং পৌঁছে যাওয়া যাবে। ফলে পর্যটকরা উপকৃত হবেন বলে মনে করছে ভারতীয় রেল।
সেবক-রংপোর এই রেল প্রজেক্ট হবে ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর মধ্যে থাকবে ১৪টি টানেল, ২২টি সেতু, ৫টি স্টেশন।