North Bengal: ৪৯টি কলেজে ৯০ শতাংশ পড়ুয়াই ফেল, ‘টাকা তুলতে চাইছে’, প্রতিবাদে বড় আন্দোলনে উত্তরবঙ্গের পড়ুয়ারা

Pradipto Kanti Ghosh | Edited By: জয়দীপ দাস

Feb 28, 2024 | 3:16 PM

North Bengal: কলেজে কলেজে ফেলের বন্যা, উত্তরবঙ্গে ৪৯টি কলেজে ৯০ শতাংশ পড়ুয়াই ফেল। ছাত্র-ছাত্রীদের আরও অভিযোগ পুনর্মূল্যায়নের অর্থ যাতে বেশি করে বিশ্ববিদ্যালয় আদায় করতে পারে সে জন্যই ইচ্ছাকৃতভাবে পড়ুয়াদের ফেল করানো হয়েছে।

North Bengal: ৪৯টি কলেজে ৯০ শতাংশ পড়ুয়াই ফেল, ‘টাকা তুলতে চাইছে’, প্রতিবাদে বড় আন্দোলনে উত্তরবঙ্গের পড়ুয়ারা
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।
Image Credit source: Facebook

Follow Us

শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৪৯ টি কলেজে প্রথম সেমিস্টার-সহ একাধিক সেমেস্টারের ফলাফলে ৯০ শতাংশ ছাত্রছাত্রীই ফেল। ফলে হইচই শুরু হয়েছে শিক্ষামহলের অন্দরে। এই ফলাফলে অবশ্য ওই ছাত্রছাত্রীদের পরবর্তী সেমিস্টারে উঠতে কোনও বাধা নেই। তবে পরে ফের পরীক্ষায় বসে অকৃতকার্য হওয়া পেপারগুলিতে পাশ করতে হবে। 

তবে অকৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীরা চাইলে খাতা পুনর্মূল্যায়ন করতে পারবেন। একশো টাকা ফি দিয়ে এই আবেদন করতে হবে। কিন্তু একযোগে এত পড়ুয়া কীভাবে ফেল করতে পারেন? সমস্যা কোথায়? তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। ‘গণফেলের’ প্রতিবাদে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীরা এদিন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভও দেখালেন। তপ্ত হয়ে উঠল ক্যাম্পাস। 

বিক্ষুদ্ধ পড়ুয়াদের দাবি, পুনর্মূল্যায়নের জন্য কোন ফি নেওয়া চলবে না। এদিন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ৪৯টি কলেজের মধ্যে শিলিগুড়ি কলেজ, সূর্যসেন কলেজ,  মুন্সি প্রেমচাঁদ কলেজ  এবং বাগডোগরা কালিপদ ঘোষ তরাই মহাবিদ্যালয়ের বেশ কিছু পরীক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান।  

অভিযোগ, প্রথম ,তৃতীয় এবং পঞ্চম সেমেস্টারের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে মাত্র দশ শতাংশ পরীক্ষার্থীই পাশ করেছেন। এমনকি প্রথম সেমিস্টারে নিউ এডুকেশন পলিসির ৯০ শতাংশ পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, সিলেবাস সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই পরীক্ষা হওয়ায় তাঁরা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেননি। ছাত্র-ছাত্রীদের আরও অভিযোগ পুনর্মূল্যায়নের অর্থ যাতে বেশি করে বিশ্ববিদ্যালয় আদায় করতে পারে সে জন্যই ইচ্ছাকৃতভাবে পড়ুয়াদের ফেল করানো হয়েছে। যদিও এদিন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তো বটেই এমনকি রেজিস্টারও তাঁর অফিসে ছিলেন না। যার জেরে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখাই করতে পারলেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা।  

Next Article