শিলিগুড়ি: ‘নিলামে উঠতে চাই না।’ দলবদল প্রসঙ্গে বলপেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সোমবারই তৃণমূলে দাবি করা হয়েছিল, একদল বিরোধী সাংসদ ও বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘দরজা খুলে দেব, দলটাই উঠে যাবে…’ তৃণমূলের দাবি, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার সেই তালিকায় নাম রয়েছে শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষেরও। সেই প্রসঙ্গেই বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “নিলামে উঠতে চাই না। শাসক সন্ত্রাসে যে মানুষগুলি মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবার এসব বিভ্রান্তিকর খবরে ভুল ভাবছেন।” তিনি বলেন, “কখনও নিজের বিবেক ছাড়া অন্য করোর দাসত্ব করিনি। করবও না।”
একুশের নির্বাচনের আগে একাধিক তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ফল বেরনোর পর থেকে বদলাতে শুরু করে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিকতম বেশ কয়েকটি মন্তব্য এক্ষেত্রে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, তৃণমূল দরজা খুলে দিলে এ রাজ্যে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে। কার্যত বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেছেন, “দুবার ইডি ডেকেছে, দুজন সাংসদ বিজেপি থেকে তৃণমূলে এসেছে। সিবিআই ডাকলে আবারও একই অবস্থা হবে।” সদ্য অর্জুন সিংয়ের মঞ্চ বদল এই ট্রেন্ডের সাম্প্রতিকতম সংযোজন। তৃণমূল দাবি করছে, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার জন্য একাধিক নেতৃত্ব পা বাড়িয়ে রেখেছেন। একটি সম্ভাব্য তালিকাও তৈরি রয়েছে। তালিকায় নাম রয়েছে বিধায়কদেরও। শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষেরও নাম আছে। এছাড়া চাকদার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ ও হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকারের নামও দলবদলের তালিকায় থাকতে পারে বলে অনুমান। তাঁরা ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলেও জল্পনা।
এই তালিকায় স্বীকৃতি দিচ্ছেন সদ্য তৃণমূলে আসা অর্জুন সিংও। যদিও তৃণমূলে আসার জল্পনাকে নস্যাৎ করেছেন শঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, “আমি দাসত্ব করব না। এসব খবর করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।” শঙ্কর ঘোষের দলবদলের জল্পনা নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি