Sikkim Flash Flood: মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে কালিম্পং, সিকিমের একাংশ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

Sikkim Flash Flood: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রঞ্জন রায়ের বক্তব্য, বিপদ আরও বাড়ল। কারণ আকারে ওই হ্রদ কমল মানেই তার জলধারণ ক্ষমতাও কমল। গ্লেসিয়ারের হিমবাহের জলে পুষ্ট হ্রদ নিজের আয়তন পাল্টাতে থাকে। তাপমাত্রা বাড়লে হ্রদ ছোট হয়। বরফ গলে। তাপমাত্রা কমলে বরফ জমতে শুরু করে। হ্রদ আকারে বাড়ে।

Sikkim Flash Flood: মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে কালিম্পং, সিকিমের একাংশ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 06, 2023 | 10:56 PM

শিলিগুড়ি: বেলুনের মতো চুপসে গেল লোহনক হ্রদ, উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ ইসরোর। ফের বিপর্যয়ে মানচিত্র থেকেই ধুয়েমুছে সাফ হতে পারে সিকিম ও কালিম্পং। এই সম্ভাবনা জোরালো হতেই বাড়ছে ভয়। সোজা কথায় সাদা-কালো তিনটে উপগ্রহ চিত্র ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসনের। ঘুম উড়েছে সেনার। প্রকাণ্ড লোহনক হ্রদের আয়তন কার্যত এক বিপর্যয়ে বেলুনের মতো চুপসে গিয়েছে। সূত্রের খবর, ১৭ সেপ্টেম্বর লোহনক হ্রদের পরিমাণ ছিল ১৬২.৭ হেক্টর। ২৮ সেপ্টেম্বর লোহনক হ্রদের পরিমাণ ছিল ১৬৭.৪ হেক্টর। ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার (বিপর্যয়ের দিন মেঘ ভাঙার বিপর্যয়ের পর) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬২.৫ হেক্টর। অর্থাৎ  বিপর্যয় হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট হ্রদের অর্থাৎ ১০৫ হেক্টর জায়গা ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে।

ইসরোর এই বক্তব্য থেকেই প্রমাণিত আগামী দিন একই ধরনের বিপর্যয় ঘটলে মানচিত্র থেকে সিকিমের একাংশ এবং কালিম্পং এর গোটা এলাকা মানচিত্র থেকে মুছে যাবে। এই সতর্কবার্তায় ইসরো থেকে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় সেনাকেও। স্বাভাবিকভাবেই এই সতর্কবার্তায় ঘুম উড়েছে ভারতীয় সেনা কর্তাদের।

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রঞ্জন রায়ের বক্তব্য, বিপদ আরও বাড়ল। কারণ আকারে ওই হ্রদ কমল মানেই তার জলধারণ ক্ষমতাও কমল।  গ্লেসিয়ারের হিমবাহের জলে পুষ্ট হ্রদ নিজের আয়তন পাল্টাতে থাকে। তাপমাত্রা বাড়লে হ্রদ ছোট হয়। বরফ গলে। তাপমাত্রা কমলে বরফ জমতে শুরু করে। হ্রদ আকারে বাড়ে। এই এলাকার হিমালয় বয়সে নবীন। পৃথিবী জুড়েই উষ্ণায়ন এবং এই অঞ্চলে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে বাঁধ নির্মাণ, টানেল খনন, বহুতল, যানবাহনের চাপে মাটিও ক্রমশ ভঙ্গুর হচ্ছে। ফলে ঠিক যেভাবে ধুয়েমুছে লেকের বিস্তীর্ণ এলাকা সাফ হয়ে গিয়েছে, সেভাবেই আরো একবার বিপর্যয় হলে মানচিত্র থেকেই হারিয়ে যেতে পারে সিকিম ও কালিম্পং। পালটে যেতে পারে দেশের উত্তর-পুর্বাঞ্চলের মানচিত্রটাই। ফলে অবিলম্বে সমস্ত গ্লেসিয়ার ও হ্রদে নিয়মিত নজরদারি দরকার। জল ও বরফ অত্যাধিক মাত্রায় বাড়তে থাকলে সাকশন করে হ্রদের চাপ কমানো দরকার। 

ইস্টার্ন হিমালয়া ট্রাভেল ও ট্যুর হসপিটালিটি নেটওয়ার্কের তরফে সম্রাট সান্যালের বক্তব্য, উন্নয়ন আর প্রকৃতির ব্যালেন্স দরকার। এটাই শিক্ষা। উত্তরাখণ্ড, হিমাচলের পর এবার সিকিম। উপযুক্ত পদক্ষেপ হোক। পাশাপাশি হ্রদের চাপ কমাতে প্রযুক্তির সাহায্যে ব্যবস্থা না হলে সমূহ বিপদ।