Unknown Fever: উত্তরবঙ্গে ফের শিশুমৃত্যু! ২৪ ঘণ্টায় মারা গেল ৩টি দুধের শিশু
Child death: অজানা জ্বরে কাবু উত্তরবঙ্গ (North Bengal)। ফের শিশুমৃত্যু (child death) উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ নিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৩টি শিশুর মৃত্যু হল শিলিগুড়িতেই।
উত্তরবঙ্গ: অজানা জ্বরে কাবু উত্তরবঙ্গ (North Bengal)। ফের শিশুমৃত্যু (child death) উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ নিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৩টি শিশুর মৃত্যু হল শিলিগুড়িতেই। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ সূত্রে খবর, সোমবার রাতেও একটি শিশুর মৃত্যু হয়। তার পর মঙ্গলবার দুপুরে আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই তিনটি শিশুরই নিউমোনিয়া ছিল। প্রবল জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাদের। এদের মধ্যে দুটি শিশুর বয়স মাত্র দেড় মাস। একটি শিশুর বয়স ৯ মাস। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দিন সন্দীপ সেনগুপ্ত জানান, মৃতদের বাড়ি যথাক্রমে বীরপাড়া, নকশালবাড়ি এবং মালবাজারে।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি থেকে একটি শিশুকে স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। এর পর উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে এদিনই ফালাকাটা থেকে জলপাইগুড়িতে নিয়ে আসা হয় ৩ মাসের শিশু পুচকা বালাকে। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল তাকে রেফার করে দেয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। এর পর সরকারি অ্য়াম্বুল্যান্সের জন্য প্রায় ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করেও কোনও গাড়ি না পেয়ে বাধ্য হয়ে প্রাইভেট অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয় শিশুটির পরিবার। কিন্তু উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে পৌঁছলে বাচ্চাটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। শিশুটির জেঠু জীবন বালার দাবি, আর একটু আগে অ্যাম্বুল্যান্স পেয়ে গেলে হয়ত বা বেঁচে যেত বাচ্চাটি।
এই শিশু মৃত্যুর ঘটনায় উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ডাক্তার সুশান্ত রায়ের দিকে আঙুল তুলেছেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অলোক চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ দিয়ে এমন পরিষেবা দেওয়া অনেকটা বানরের হাতে খোন্তা দেওয়ার মতো। উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা। বলেন, “আমরা পরিস্থিতি ঠিক করতে এইমস-এর জন্য জমি চেয়েছিলাম। এতে উত্তরবঙ্গের মানুষ ভালো পরিষেবা পেত। কিন্তু মমতা ব্যানার্জী আমাদের জমি দিলেন না।”
রাজনৈতিক তরজার মধ্যে থেমে নেই শিশু আক্রান্তের সংখ্যা। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে শিশু রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। হাসপাতালে এখন গাদাগাদি ভিড়। একই বেডে একাধিক শিশুকে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সমস্যার কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিজয় চন্দ্র বর্মন। তিনি বলেন, “পিকু ওয়ার্ড না থাকায় শ্বাসকষ্ট সমস্যা বাড়লে রেফার করা হচ্ছে। আর এক্সপার্ট পাওয়া যাচ্ছেনা। পিকু ওয়ার্ড চালু করা যাচ্ছে না। রোগী বেড়ে গেছে। তাই এই গাদাগাদি পরিস্থিতি।”
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে মোট ১৩৫টি শিশু। এর মধ্যে নতুন করে ভর্তি হয়েছে ২১ জন। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছে ২৩ জন। ২ শিশুকে অন্যত্র রেফার করা হয়েছে। কোভিড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে এক শিশু।
আরও পড়ুন: Coal Scam: লালা ঘনিষ্ঠ জয়দেব সহ ৪ জনকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ আদালতের