দার্জিলিং: আর কয়েক মাস পরই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য রাখছেন নেতা-মন্ত্রীরা। ঠিক যেমন মঙ্গলবার শিলিগুড়ি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন বাংলাই ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দেবে। ১৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের চতুর্থ বৈঠক। তার আগে উত্তরবঙ্গের সভা থেকে ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য রাখলেন মমতা। তার এই বার্তা কি কাউকে উদ্দেশ্য করে? প্রশ্ন উঠছেই।
কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
“আগামিকাল দেশ যা ভাবে বাংলা তা আজ ভাবে। তাই আমাদের বাংলাই ভারতকে নেতৃত্ব দেবে। আমাদের বাংলাই দেশকে নেতৃত্ব দেবে। আর সকলকে আমরা মর্যাদা দেব। সকলের জন্য কাজ করব।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, মমতার এই বার্তা কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করেই। পাঁচ রাজ্যে ভাল ফল হয়নি তাদের। ফলে ইন্ডিয়া জোটের ভিতরে আসন দরাদরি বা রফা যাই হোক তাতে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে হাত শিবির। ফলত, ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার এই সুযোগককে কি হাতছাড়া করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো? প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন তিনি। শুধু তাই নয়, তৃণমূল যাতে গুরুত্ব পায় সেই প্রয়াসও জারি থাকবে।
বস্তুত, এই পরিস্থিতিতে জোটের যা অবস্থা কংগ্রেসের পর বড় দল বলতে তৃণমূল। তাই বাংলাকে অবশ্যই ইস্যু করতে চাইবে ঘাসফুল শিবির তেমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। গত বিধানসভা ভোটের দিকে নজর দিলে দেখা যাবে, তৃণমূলের একটি ক্যাচি স্লোগান ছিল, “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়” ফলত, অনুমান করা যেতেই পারে তৃণমূল সুপ্রিমো হয়ত রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কথা বলবেন কংগ্রেস তৃণমূল যাতে জোট করে নির্বাচন লড়ে। তাহলে এ রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে অধীক আসন ‘ইন্ডিয়া’ পেতে পারবে। কারণ, সদ্য পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাহুল গান্ধী তাঁকে ফোন করেছিলেন। তাই জোটে নিজেদের গুরুত্ব বোঝাতে তৃণমূল যে সর্ব শক্তি দিয়ে নামবে এ কথা বলাই বাহুল্য।