শিলিগুড়ি: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে সিকিমের লোনক হ্রদ ফেটে তিস্তায় হড়পা বান। কার্যত ভেসে গিয়েছে উত্তর সিকিমের একাংশ। ভেসে গিয়েছেন ২৩ জন জওয়ান। তাঁদের এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি। সেনাবাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আরও ২৫ ফুট জলস্তর বাড়বে। এখনই দোতলা বাড়ির ওপর দিয়ে বইছে জল। বর্তমান জলস্তর থেকে আরও ২৫ ফুট জল বাড়লে, পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিতে চলেছে বলে জানিয়েছেন সেনার ইস্টার্ন কমান্ড। লোনক হ্রদে আরও বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। জল আরও নীচে নেমে আসছে। তিস্তা আরও বেশি ভয়াল রূপ ধারণ করেছে। সেনা থেকে ইতিমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। লেহনক লেকের কাছাকাছি সেনা ছাউনি থেকে নীচের দিকে থাকা সেনা ছাউনিকে সতর্ক করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।
মধ্যরাত থেকে মেঘভাঙা বৃষ্টি, আর তাতেই উত্তর সিকিমের লাচেন উপত্যকার লোনক হ্রদ উপচে পড়ে। ভাঙে চুংথাম বাঁধ। রাক্ষুসে চেহারা নেয় তিস্তা। এখনই সিকিমের উপরের এলাকা রীতিমতো ভেসে গিয়েছে। পাহাড়ি সিকিমের দু’পাশে সেনাছাউনি। ধসে যায় ছাউনি। মধ্যরাতের জলস্তরে ভেসে যান ২৩ জন সেনা।
সময় যত এগোচ্ছে, ভয়ঙ্কর তিস্তা আরও রুদ্ররূপ নিচ্ছে। সেনার তরফে ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে, তিস্তায় ২৫ ফুট পর্যন্ত জলস্তর আরও বাড়বে। তিস্তার দোমহনী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর।
তিস্তা পারে মাইকিংয়ের পাশাপাশি নদী পাড়ে থাকা লোকেদের হুইসেল বাজিয়ে সরিয়ে দিচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকেরা। সেনার তরফ থেকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজ চলছে। বৃষ্টি থামার কোনও লক্ষ্মণ নেই। জলস্তর বাড়ছে। প্রশাসন আপাতত তিস্তার আশপাশ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার ওপরেই জোর দিচ্ছে।