শিলিগুড়ি: জুন মাসে অসমে গ্রেফতার হয়েছিল দুই কেএলএ জঙ্গি। মঙ্গলবার ওই দুই জঙ্গিকে নিজেদের হেফাজতে নিল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। এদিন তাদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছিল এবং জঙ্গিদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আবেদনের ভিত্তিতে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতের বিচারক ধৃতদের ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃত জঙ্গিদের নাম নির্মল দাস ও উত্তম রায়। সূত্রের খবর, কেএলও প্রধান জীবন সিং-এর একাধিক নাশকতামূলক অভিযানের সঙ্গে যুক্ত ছিল এই দুই জঙ্গি। এরা দুইজনেই অসমের কোকরাঝার এলাকার বাসিন্দা।
রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স সূত্রে খবর, অসমের শেরফাংগুড়ি এলাকা থেকে সুনীল মণ্ডল নামে এক চাল ব্যবসায়ীর থেকে দুই লাখ টাকা দাবি করেছিল কেএলও। কিন্তু ওই ব্যবসায়ী তা দিতে রাজি না হলে তাঁর দোকানের সামনেই গুলি করা হয়েছিল ব্যবসায়ীকে। ওই হামলার ঘটনায় নাম উঠে আসে এই দুই ধৃত কেএলও জঙ্গির। ঘটনাটি ঘটেছিল ৪ জুন। এর পরের দিনই অর্থাৎ, ৫ জুন অভিযুক্ত ওই দুই কেএলও জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল অসম পুলিশ। সেই সময় থেকে কোকরাঝারের সংশোধনাগারেই ছিল জঙ্গিরা।
এদিকে শিলিগুড়ি থেকেও সম্প্রতি দুই কেএলও জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছিল এসটিএফ-এর হাতে। ওই দুই জঙ্গিকে জেরা করেই নির্মল ও উত্তম নামে ওই দুই কেএলও জঙ্গির নাম উঠে আসে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে। এসটিএফের ডিএসপি ( উত্তরবঙ্গ) সুদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “নির্মল মূলত বিভিন্ন জেলা থেকে কেএলও সংগঠনের জন্য লোক নিয়োগ করত এবং উত্তম সংগঠন পরিচালনা ও অস্ত্র কেনার জন্য বিভিন্ন ব্যবসায়ী বা সংস্থার থেকে টাকা জোগার করত। উত্তরে ওই দু’জনের চক্রর শিকড় কতটা ছড়িয়েছে, তা জানতেই এবার ওই দুজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আর কেউ ওই দুজনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে কিনা সেটাই এখন খতিয়ে দেখার বিষয়।”