শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গ থেকে দুপুরে এল খারাপ খবর। ফের তিন শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে সেখান থেকে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও তিনজনের।
জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে সুপ্রিয়া দাস নামে একজন মেয়ে রয়েছে।অন্যদিকে, রেহান মণ্ডল ও আরিয়ান হক নামে দু’জন ছেলে রয়েছে। এদের প্রত্যেকের বয়স ছয়মাস থেকে এক বছর। ওই শিশুদের বাড়ি কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে। এদের প্রত্যেকেরই জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ছিল।
এই নিয়ে মেডিক্যাল কলেজে গত এক সপ্তাহে দশ জনের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুমৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
গত পরশুদিন পরপর শিশুমৃত্যুর খবর আসে উত্তরবঙ্গ থেকে। প্রথমে রাতের দিকে এক শিশুর মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। পরের দিন দুপুরে আরও দুই শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এই তিন শিশুর নিউমোনিয়া এবং জ্বর, শ্বাসকষ্ট ছিল। এদের মধ্যে দুজনের বয়স মাত্র দেড় মাস। আর একজনের বয়স ৯ মাস। মৃত ওই শিশুদের বাড়ি যথাক্রমে বীরপাড়া নকশালবাড়ি এবং মালবাজারে। এছাড়া জানা যাচ্ছে একজন চোপড়ার বাসিন্দা রয়েছে। চোপড়ার ওই শিশু ছাড়াও পেডিয়াট্রিক বিভাগে মারা গিয়েছে ১৯ দিনের একরত্তিও।
এদিকে,জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে রেফার হয়ে আসার পথে মৃত্যু হয় অন্য এক শিশুর। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে ফালাকাটা থেকে জলপাইগুড়িতে নিয়ে আসা হয় ৩ মাসের শিশু পুচকা বালাকে। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল তাকে রেফার করে দেয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। এর পর সরকারি অ্য়াম্বুল্যান্সের জন্য প্রায় ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করেও কোনও গাড়ি না পেয়ে বাধ্য হয়ে প্রাইভেট অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয় শিশুটির পরিবার। কিন্তু উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে পৌঁছলে বাচ্চাটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। শিশুটির জেঠু জীবন বালার দাবি, আর একটু আগে অ্যাম্বুল্যান্স পেয়ে গেলে হয়ত বা বেঁচে যেত বাচ্চাটি।
বিষয়টি রাজনৈতিক স্তর অবধি পৌঁছায়। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অলোক চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ দিয়ে এমন পরিষেবা দেওয়া অনেকটা বানরের হাতে খোন্তা দেওয়ার মতো। উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা। বলেন, “আমরা পরিস্থিতি ঠিক করতে এইমস-এর জন্য জমি চেয়েছিলাম। এতে উত্তরবঙ্গের মানুষ ভালো পরিষেবা পেত। কিন্তু মমতা ব্যানার্জী আমাদের জমি দিলেন না।”
এর পাশাপাশি আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে আর একজন জলপাইগুড়ির বাসিন্দা।বেশ কয়কদিন ধরেই অজানা জ্বর নিয়ে উত্তরবঙ্গে বেড়েছে শিশুদের আক্রান্তের সংখ্য়া। প্রথমদিকে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। প্রথমদিকে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থাকলেও পরে খবরে আসে শিশুমৃত্যু। পাশাপাশি কয়েকজনের শরীরে মেলে করোনা সংক্রমণও।