শিলিগুড়ি: অটোতে যাচ্ছিলেন। ধারে বসেছিলেন। আচমকাই একটা বাঁশের টুকরো ঢুকে গিয়েছিল বুকে। একেবারে এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যায়। বছর পঞ্চান্নর মহিলার স্তনের ঠিক ওপরেই অংশেই সামনে থেকে ঢুকে পিছন থেকে বেরিয়ে থাকে বাঁশের টুকরোর মুখ। ওই অবস্থাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। দুই হাসপাতাল ঘুরে শেষমেশ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অসম্ভবকে করা হয় সম্ভব। অপারেশন করে মহিলার স্তনের ওপর থেকে বার করে আনা হয় বাঁশের টুকরো। ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন করে মহিলার প্রাণ বাঁচালেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা।
বছর পঞ্চান্নর শোভাদেবী শিলিগুড়ির পাঞ্জিপাড়ার বাসিন্দা। তিনি সকালে অটোতে কিশানগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। জানা যাচ্ছে, অটোর ধারে বসেছিলেন তিনি। অটো চলছিল দ্রুত গতিতে। সেসময় বেখেয়ালবশত অটোটি একেবারের রাস্তার ধার ঘেঁষে যায়। রাস্তার ধারে থাকা কাঁচা বাঁশের টুকরো শোভাদেবীর বুকে বিঁধে যায়।
পাঞ্জিপাড়া থেকে কিশনগঞ্জ হয়ে শেষমেষ উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন বছর ৫৫ র শোভাদেবী। তাঁকে দেখেই চমকে ওঠেন চিকিৎসকরা। কিন্তু ঝুঁকি নিয়েই ওটিতি মেডিকেল টিম তৈরি করেন তাঁরা। শুরু হয় জটিল অস্ত্রোপচার। মাঝরাত পর্যন্ত চলে অপারেশন। বাঁশের টুকরোটি বার করা হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আপাতত সুস্থতার দিকে এগোচ্ছেন প্রৌঢ়া।
মেডিক্যাল কলেজের আনিস্থিশিয়া বিভাগের আসিস্ট্যান্ট প্রফেসর চিকিৎসক অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার ছিল। পাঞ্জিপাড়ায় অটোয় যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। তাঁর বুকের এদিক থেকে ওদিকে ঢুকে যায় একটি বাঁশের টুকরো। প্রাণসংশয় নিয়েই ওই মহিলাকে কিশনগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষে সেখান থেকে মেডিক্যাল কলেজে আনা হয় সন্ধ্যায়। আজ ভোর রাতে আমরা সফল অস্ত্রপচার করেছি। আপাতত ভেন্টিলেশনে স্থিতিশীল রয়েছেন মহিলা।”