দার্জিলিং: পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য আরও একধাপ এগোল রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য আসন পুনর্বিন্যাস ও সংরক্ষণের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সোমবার এই নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য আসন পুনর্বিন্যাস ও সংরক্ষণের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এদিন প্রকাশিত নির্দেশিকা অনুযায়ী আগামী ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য আসন পুনর্বিন্যাস ও সংরক্ষণ সংক্রান্ত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাহাড়ে দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন শুরু করার প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। এক বিবৃতিতে বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন, এটা জেনে আমি খুশি যে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রের চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে রাজু বিস্তা জানিয়েছেন, দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে পাহাড়ে গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি – এই দুই স্তরের জন্য পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে রাজ্য সরকার।
রাজু বিস্তা আরও জানিয়েছেন, “২০১৯ সাল থেকে আমরা যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, তা শেষ পর্যন্ত ফল দিতে শুরু করেছে।” একেবারে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত গণতন্ত্র নিশ্চিত করার জন্য গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। বিজেপি সাংসদ আরও জানিয়েছেন, দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু করার জন্য রাজ্য সরকারের উপর আগামী দিনে আরও চাপ তৈরি করা হবে।
প্রসঙ্গত, পাহাড়ে শেষবার পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল প্রায় দুই দশক আগে। তারপর থেকে আর পঞ্চায়েত ভোট হয়নি পাহাড়ে। পরবর্তী সময়ে রাজ্যে ঐতিহাসিক পালাবদলের পর পাহাড়ে জিটিএ বোর্ড গঠন করা হয়। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির তরফে বার বার পাহাড়ে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হচ্ছিল। বিশেষ করে পাহাড়ে বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকাগুলি পঞ্চায়েত ব্যবস্থার অভাবে উন্নয়নের মূল স্রোত থেকে বিভিন্ন ভাবে বঞ্চিত হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠছিল। এমন পরিস্থিতিতে পাহাড়ে আবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতির পথে আরও একধাপ এগোল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।