KLO Connection: অনেকদিন ট্যাঁ-ফু করেনি, হঠাৎ সক্রিয়! জ্বালামুখী ফাটার আগেই আকসু সদস্যকে ধরল এসটিএফ
Bengal STF: দীর্ঘদিন ধরেই এই ব্যক্তির উপর নজর ছিল স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের। সূত্রের খবর, একদা এই ব্যক্তি জীবন সিং ঘনিষ্ঠ ছিল। অবশেষে শুক্রবার গ্রেফতার করা হল তাকে। গ্রেফতারির পর আজই অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হয় এবং বিচারক তদন্তের স্বার্থে ধৃতের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
শিলিগুড়ি: রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে এবার ধরা পড়ল এক সক্রিয় আকসু (অল কামতাপুর স্টুডেন্টস ইউনিয়ন) সদস্য। শুক্রবার বিকেলেই রাজ্য পুলিশের এসটিএফ গ্রেফতার করে ওই ব্যক্তিকে। ধৃতের নাম তাপস রায়। বাড়ি কুমারগ্রাম থানা এলাকার পশ্চিম নাগারতলিতে। দীর্ঘদিন ধরেই এই ব্যক্তির উপর নজর ছিল স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের। সূত্রের খবর, একদা এই ব্যক্তি জীবন সিং ঘনিষ্ঠ ছিল। অবশেষে শুক্রবার গ্রেফতার করা হল তাকে। গ্রেফতারির পর আজই অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হয় এবং বিচারক তদন্তের স্বার্থে ধৃতের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা যাচ্ছে, ২০২২ সালে কেএলও নেতা জীবন সিং যখন মায়ানমারে ছিল, তখন অস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য যাচ্ছিল এই ব্যক্তি। সঙ্গে ছিল আরও কয়েকজন। কিন্তু অস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য কেএলও শিবিরে যাওয়ার আগেই নাগাল্যান্ড পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল সে। নাগাল্যান্ড পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে অসম পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় তিন মাসের উপর অসমের কোকরাঝাড় জেলে ছিল এই তাপস রায়। পরে জামিন পেয়ে আবার এ রাজ্যে ফিরে আসে। বাংলায় ফেরার পর অনেকদিন বেশি ট্যাঁ-ফু করেনি এই তাপস। চুপচাপই ছিল। তবে পুলিশের তরফে সবসময় নজর রাখা হচ্ছিল তার গতিবিধির উপর।
সম্প্রতি পুলিশ জানতে পারে, এই তাপস আবার সক্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে। বেশ কয়েকজনের থেকে টাকা তোলার জন্য চাপ দিচ্ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। রাজ্যের এসটিএফ-এর এক অফিসার জানাচ্ছেন, ‘এদের মূলত দরকার হল টাকা। বাংলাদেশ থেকে কেএলও-কেএন চেয়ারম্যান চাপ তৈরি করছে, টাকা দরকার, কিছু আইইডি দরকার। এই কেএলও-কেএন-এর বেশ কিছু সক্রিয় সদস্য আমাদের এলাকায় আছে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও অসম এই এলাকার মধ্যেই এরা ঘুরছে।’
এসটিএফ-এর ওই অফিসার আরও জানাচ্ছেন, সেই মতো গোপন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাপস রায়কে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। শিলিগুড়িতে এসটিএফ-এর অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের সময়েই বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে এবং সেই কারণে তাপসকে গ্রেফতার করা হয়। এই ধৃতের বাংলাদেশে যাতায়াত না থাকলেও, বাংলাদেশের কেএলও জঙ্গিদের সঙ্গে তার ভালই যোগাযোগ ছিল বলে জানাচ্ছেন ওই এসটিএফ অফিসার।