পূর্ব বর্ধমান: রাজ্যের শাসকদলকে সকাল-বিকেল উঠতে-বসতে তুলোধনা করছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ঠিক যেদিন নিজের পাড়ায় লাইনে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘স্বাস্থ্যসাথী’র কার্ড সংগ্রহ করলেন। সেদিনই এই প্রকল্পকে ‘ঢপের চপ’ বলে দেগে দিলেন দিলীপ। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের কুড়মুনের হাটতলায় জনসভায় হয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী সাংসদ সুনীল মণ্ডল (Sunil Mondal)।
সেই সভা থেকেই একের পর এক অভিযোগে তৃণমূল নেত্রী তথা দলকে বিদ্ধ করেন রাজ্য বিজেপি প্রধান। কেন্দ্রের পাঠানো রেশন চুরির অভিযোগ তুলে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ‘চোর’ বলতেও শোনা যায় তাঁকে। দিলীপের অভিযোগ, রেশনের সব ভাল চাল-গম বাংলাদেশে পাচার করা হয়েছে। হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, “রাজ্যের সব জেলগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে। আসলে মে মাসের পর সব জেলে যাবে। দিদির ভাইয়ের জন্য জেল ঠিক করা হচ্ছে।”
এদিনই আবার মন্ত্রিত্বের পাশাপাশি হাওড়া জেলা সদরের তৃণমূল সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। সেই প্রসঙ্গ উঠলে বিজেপি নেতা বলেন, “প্রতিদিনই উইকেট পড়ছে। দিদির কাছে ফোন এলেই দিদি ভাবেন, আবার কেউ পদত্যাগ করেছে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে দিদি ভাবছেন, ও পদত্যাগ করবে না। রাজীব তো আমার খাঁটি লোক।” খানিকটা তীর্যক ভঙ্গিতে বলে রাজীবের দলবদলের জল্পনা উস্কে দেন তিনি।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ইস্তফা নিয়ে মমতা বললেন, ‘ও ভাল ছেলে, খেলাতে বেশি মন দিতে চায়’
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তৃণমূলকে ছেড়ে কথা বলছেন না সুনীল মণ্ডলও। এদিনের সভায় তিনি ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে ‘শকুন’ ও তাঁর সংস্থা আইপ্যাক-কে ‘বিনা পুঁজির ব্যবসাদার’ বলে আক্রমণ করেন।
আরও পড়ুন: ‘গাধা’ পিটিয়ে ‘ঘোড়া’ বানানোর চেষ্টা করছেন মমতা! অর্জুনের নিশানায় কে?