কলকাতা-শিলিগুড়ি-মালদহ: তিলোত্তমার বিচার সহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংস্কারে একগুচ্ছ দাবিকে সামনে ধর্মতলায় অনশন চালাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। প্রতীক অনশনে সামিল হয়েছেন রাজ্যের বড় বড় প্রায় সব মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ থেকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ, সর্বত্রই একই ছবি। এদিন সকাল ৯টা থেকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের মূল ভবনের সামনে থাকা অবস্থান মঞ্চে অনশন শুরু করেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা। উৎসবের মাঝেই অনশন মঞ্চে মোট ১৬ জন জুনিয়ার চিকিৎসক অনশন শুরু করেন।
অন্যদিকে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসুচি অনুযায়ী রায়গঞ্জ মেডিক্যালেও ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন শুরু করলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তাঁদের সঙ্গে সামিল সিনিয়র ডাক্তাররাও। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে, প্রতিবাদী স্লোগান লিখে রায়গঞ্জ মেডিক্যালের এমার্জেন্সির সামনে চলছে ধরনা। তবে শুধু আরজি কর কাণ্ডই নয়, সোমবার রাতে রায়গঞ্জ মেডিক্য়ালে রোগীর পরিবারের হাতে চিকিৎসক, নার্স নিগ্রহের ঘটনাতেও দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁরা। অন্যদিকে নিগ্রহের ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে একই ছবি মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও। সেখানেও প্রতীকী অনশনে সামিল হয়েছেন চিকিৎসকেরা। সকাল ন’টা থেকে চলছে অবস্থান, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। একই ছবি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজেও। ১০ দফা দাবি নিয়ে অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেও প্রতীকী অনশনে সিনিয়র চিকিৎসকেরা। প্রাক্তন রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলের সদস্য দীপাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দেখা গেল ধরনা মঞ্চে। সহমর্মিতা জানিয়ে অনশন মঞ্চে হাজির ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিদ্যুৎ গোস্বামী বলেন, “রোজ পিঠে হাত দিয়ে দেখছি শিঁড়দাড়া সোজা আছে কি না। ওদের মঞ্চে রোজ আসছি।”