কলকাতা: বিয়ের মরসুমে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সোনা পাচারও! অন্তত, তেমনটাই দাবি করছে BSF। সীমান্তরক্ষী বাহিনী গত এক মাসে দক্ষিণবঙ্গে অন্তত ২৪ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যার বাজারমূল্য অন্তত ২৭ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ মিলিয়েই গত এক মাসে বিএসএফ ১৫ কেজি ৭২২ গ্রাম সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে। তারই বাজার মূল্য ১২কোটিরও বেশি।
বিএসএফ আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরের থেকে এবছর সীমান্তে সোনা পাচারের প্রবণতা অনেক বেশি। আর যত দিন যাচ্ছে পাচারকারীরা আবিষ্কার করছেন নিত্য নতুন পন্থা। এমনকি নিজের জীবন বিপন্ন রেখে পায়ুদ্বারের মধ্যেও পাচারকারীরা ঢুকিয়ে নিচ্ছেন মোটা সোনার বাঁট। মূলত, উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ, বসিরহাট, বাগদা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন, এদিকে, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার সীমান্ত পেরিয়ে সহজেই পাচারকারীরা হাত বদল করে দিচ্ছে সোনার। মধ্যস্থতাকারীরা ইছমতীর ধারে অপেক্ষারত ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিচ্ছে সোনা।
পরিসংখ্যান দেখে তদন্তকারীরা এটাও বলছেন, মূলত শীতকাল, বিয়ের মরসুম। আর সে সময়েই সোনা পাচারের প্রবণতা আরও বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু পাচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকেই কেন বেছে নেওয়া হচ্ছে? তদন্তকারীদের দাবি, বাংলাদেশের বাজারে ২৪ ক্যারাট, ১০ গ্রাম সোনার দাম ভারতীয় মুদ্রায় ৪৫ হাজার টাকার আশপাশে। সেখানে বাংলাতেই সোনার দাম ৬৩ হাজার টাকার আশপাশে। অর্থাৎ অনেকটাই বেশি, সঙ্গে চাহিদাও।
সোনা পাচারকারীরা পাচারের ক্ষেত্রেও নিত্য নতুন পন্থা নিচ্ছে। সেক্ষেত্রে সীমান্তে আরও নজরদারি বাড়াচ্ছে বিএসএফ। বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি জানিয়েছেন, সোনা পাচারের ঘটনায় ধরপাকরের ক্ষেত্রে উত্তরোত্তর বিএসএফের সফলতা বাড়ছে। গত কয়েক মাসেই বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার হয়েছে। আরও নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।