মঙ্গলকোট: বালির লড়ির ওভারলোডিংয়ের সমস্যা নতুন নয়। প্রশাসনের তরফে এই বিষয়ে একাধিকবার কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও তাতে হুশ ফেরেনি চালকদের। এমতাবস্থায় এবার, ওভারলোডিং বালির গাড়ি অভিযানে এসে বালি মাফিয়া ও বালির গাড়ি চালকদের হাতে নিগৃহীত হলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিবহন দফতরের আধিকারিকরা। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কাটোয়ার (Katwa) মঙ্গলকোটে। এই ঘটনায় গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন পরিবহন দফতরের (Transport Department) ২ জন কর্মী। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। খবর পেয়ে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ একটি ডাম্পার সহ কয়েকটি ট্রাক্টর ও বালি তোলার সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে।
অভিযোগ, মঙ্গলকোটের(Mangalkot) অজয় নদী থেকে দীর্ঘদিন থেকেই অবৈধভাবে বালি তোলা হয়। শুধু বালি তুলেই থেমে থাকেনি বালি মাফিয়ারা। উল্টে গাড়িতে ওভারলোড করে তা পাচারও করা হচ্ছে। এ ঘটনার তদন্তেই মঙ্গলবার বর্ধমান জেলা পরিবহন দপ্তর থেকে আচমকাই কয়েকজন আধিকারিক ও কর্মীরা হানা দেন মঙ্গলকোটের বিভিন্ন বালি ঘাটে। সূত্রের খবর, তাঁদের চোখের সামনেই চলতে থাকে ওভারলোডিংয়ের কাজ। ওই সময় একটি গাড়ি আটকাতে গেলে তাঁদের ঝাঁপিয়ে পড়ে বেশ কয়েকজন বালি মাফিয়া ও গাড়ির চালক। বেধড়ক মারধর করা হয়। তখনই প্রাণের ভয়ে এলাকা ছাড়েন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ঘটনা প্রসঙ্গে, বর্ধমানের জেলা পরিবহন দফতরের আরটিও অনুপম চক্রবর্তী বলেন, “গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ মঙ্গলকোর্টে আমাদের এনফোর্সমেন্ট টিম যায়। তকই কিছু স্থানীয় দুষ্কৃতি তাঁদের উপর চড়াও হয়। মারধরও করা হয়। কোনওরকমে তাঁরা সেখান থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। আমাদের কর্মীরা মোট ৫ জন ছিলেন। ইতিমধ্যেই দু’জনের সিটি স্ক্যান হয়েছে। একজনের বুকের এক্সরেও হয়েছে। পুলিশে অভিযোগও জানিয়েছি”।
তবে যে সময় অভিযানে যাওয়া হয়, তখন পরিবহন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে পুলিশ ছিল না বলে জানিয়েছেন অনুপম বাবু। আচমকা পাচারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে যান তাঁরা। তখনই তাঁদের উপর চড়াও হয় বালি মাফিয়ারা। এমনকী এক আধিকারিকেরা মাথায় পাথর দিয়ে আঘাতও করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে একেবারে সরকারি কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় স্বভাবতই তীব্র চাপানউতর তৈরি হয়েছে প্রশাসনিক মহলে।