ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দেবে সরকার: মুখ্যমন্ত্রী

পূর্ব মেদিনীপুর: ঠিক এক বছর আগে বাংলার বুকে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় আমফান। সেই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ বিলিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে। ত্রাণের টাকা এমনকি চাল নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়। তবে এবার ইয়াস (Yaas) ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের […]

ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দেবে সরকার: মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 28, 2021 | 9:03 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: ঠিক এক বছর আগে বাংলার বুকে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় আমফান। সেই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ বিলিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে। ত্রাণের টাকা এমনকি চাল নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়। তবে এবার ইয়াস (Yaas) ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুক্রবার দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল রিভিউ মিটিংয়ে মমতা জানান, ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারি সাহায্যের জন্য আগামী ৩ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। এবং সেই অনুদানের টাকা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, দুয়ারে সরকারের মতো, দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পের মতোই সরকারি অফিসাররা সরাসরি এই বিষয়টি দেখবেন। কোনও ক্ষতিগ্রস্ত যাতে বঞ্চিত না হন তা দেখতে হবে।

এই ক্ষতিপূরণের জন্যে আবেদন করা যাবে বিডিও অথবা পঞ্চায়েত অফিসে। ১৯ থেকে ৩০ তারিখ সেই আবেদন খতিয়ে দেখা হবে। একেবারে ফিল্ড সার্ভে করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি টাকা যাতে অপব্যবহার না হয় এবং ত্রাণ বিলিতে যাতে কোনও অনিয়ম না হয় তাই এই ব্যবস্থা বলে জানান মমতা। জানান, পনেরো দিন আবেদন নেওয়া এবং পনেরো দিন ফিল্ড সার্ভের পর আগামী ১ জুলাই থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন মানুষ।

মুখ্যমন্ত্রী আরও যোগ করেন, যা সাহায্য করার তা দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পের মাধ্যমেই করা হবে। অনেক জমিতে নোনা জল ঢুকে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। যে সব জমি থেকে পাম্প দিয়ে জল বের করে যতটা সম্ভব হয়, যতটা ফসলের রক্ষা করা যায় তা করতে হবে। এর পাশাপাশি নোনা জলে চাষ করা যায় এমন ধান চাষ করতে হবে। গত বছর আমফান পর ২৪ পরগনাতে এই ধরনের ধানের পরীক্ষামূলক চাষ করা হয়েছে। তাছাড়া পঞ্চায়েতের যে সমস্ত রাস্তা নষ্ট হয়েছে সেগুলি পথশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে সারানো হবে জানান তিনি। তবে দেখতে হবে রাস্তা তিন বছরের মধ্যে খারাপ হয়েছে কিনা। কারণ, রাস্তা তৈরির পর তিন বছরের গ্যারান্টি থাকে। এর মধ্যে ক্ষতি এই সময়ের মধ্যে রাস্তা খারাপ হলে আমি সরকারি টাকা নষ্ট করব না। একটিও টাকা নষ্ট করব না।

আরও পড়ুন: ইয়াসের ক্ষতি পূরণে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণার সম্ভাবনা, আজ বাংলা-ওড়িশায় প্রধানমন্ত্রী! কুলাইকুণ্ডায় মমতার সঙ্গে বৈঠক

এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বাঁধগুলি দেখার জন্য সেচ দফতরকে দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পরামর্শ, ভূমিক্ষয় রোধে ঝাউ ,ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ লাগাতে হবে। আর নদী বাঁধ রক্ষার জন্যে বিশেষ ধরনের ঘাস লাগাতে হবে। তৈরি করা হবে বিশেষ কমিটি।