কৃষ্ণগঞ্জ: মহিলার অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। শনিবার ভাগীরথী নদী থেকে দুই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ। রবিবার পুনরায় নদিয়ার(Nadia) কৃষ্ণগঞ্জ থানার অন্তর্গত স্বর্ণখালি এলাকায় এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা জেলাতেই। সূত্রের খবর,এদিন সকালে স্বর্ণখালী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা মাথাভাঙ্গা নদীর ঘাটে নামতেই দেখতে পান কচুরিপানার মধ্যে জলে ভাসছে একটি মহিলার অর্ধনগ্ন মৃতদেহ। তৎক্ষণাৎ কৃষ্ণগঞ্জ থানাকে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু দেহ দেখে শনাক্ত করতে পারেননি কেউই। স্থানীয়রাও স্পষ্ট জানিয়েছেন, মৃতদেহটি তাদের এলাকার কোনও মহিলার নয়।
কিন্তু,মৃতদেহটি কীভাবে ওই এলাকায় ভেসে এল তা এখনও স্পষ্ট নয়। কেউ বা কারা খুনে করে ওই মহিলাকে ওখানে ফেলে গিয়েছে কিনা, বা জলে ডুবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে কিনা তা নিয়েও বাড়ছে ধোঁয়াশা। বাংলাদেশ থেকে দশ কিলোমিটার অদূরে স্বর্ণখালির উপর দিয়ে গিয়েছে এই মাথাভাঙ্গা নদী। তাই, মৃতদেহটি বাংলাদেশ থেকেও ভেসে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে জোরদার তদন্ত শুরু করছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ।। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশেও। সেখান থেকে নদিয়ায় ওই মহিলা বেড়াতে এসে বিপদে পড়েছিলেন কিনা সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা ভাগ্যধর বিশ্বাস বলেন, “আমি সকালে ৯টা নাগাদ বাড়ি থেকে বাজার যাওয়ার পথে শুনি এখানে নদীতে একটা গলা কাটা লাশ ভেসে এসেছে। কিন্তু এসে দেখি মৃতদেহটি প্লাস্টিকে বেঁধে তুলে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তবে কোথা থেকে দেহটি এখানে এল তা এখনই ঠিক বলা যাচ্ছে। আমাদের অনুমান বাংলাদেশ থেকেও এসে থাকতে পারে। পুলিশই তদন্ত করে বুঝতে পারবে আসল ঘটনা”। অপর এক স্থানীয় বাসিন্দা সনৎ রায় বলেন, “সকালে খবর পাই নদীতে একটা লাশ ভেসে এসেছে। ছুটে গিয়ে দেখি সত্যিই একটা লাশ ভেসে এসেছে। অনেকে বলছিল মহিলাটার গলা কাটা। শুধু শরীরে ব্লাউজ আর সায়া রয়েছে। তবে পুলিশ এসে যখন দেহটি তুলল, তখন দেখা যায় গলা কাটা নেই। তবে শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে মহিলাটি আমাদের এলাকার নন”।
আরও পড়ুন- অর্জুনের ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষা’ শুনে কল্যাণের মন্তব্য, ‘দল ঠিক করবে’