ঘাটাল: সব ঋতুরই কিছু আলাদা নিয়ম আছে, ধরন আছে। তার ওপর নির্ভর করেই চলে এ দেশের কৃষিকাজ। তাই সেই নিয়ম ওলোট পালট হয়ে গেলেই বিপদ। তাই মাঘ মাসে বৃষ্টি নামতেই মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের। বৃহস্পতিবার রাতভর বৃষ্টি হয়েছে একাধিক জেলায়। মাঝরাতে শিলও পড়তে থাকে। আর তাতেই প্রমাদ গুনতে থাকেন কৃষকেরা। সকালে মাঠে গিয়েই বুঝতে পারেন, যা আশঙ্কা করেছিলেন সেটাই হয়েছে। মাঠ ভরে গিয়েছে জল। ফলে ফসল কতটা উৎপন্ন হবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
বুধবার রাতেও একাধিক জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার রাতে রীতিমতো বজ্রবিদ্যুৎ সহ শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি। সঙ্গে পড়তে থাকে শিল। পশ্চিম মেদিনীপুরের কৃষকরা তাই চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা,দাসপুর সহ জেলার বেশ কিছু জায়গায় আচমকাই শুরু হয় বজ্র বিদ্যুৎ সহ মুষলধারে বৃষ্টি। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে বৃষ্টি।
সকালে ঘুম ভাঙলেও দেখা যায় মেঘলা আকাশ। ফলে সূর্যের মুখ দেখা যাবে কি না, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে সংশয়। মেঘ আর কুয়াশার মধ্যে আলু ফলানো মুস্কিল। এমনটাই বলছেন এক কৃষক। তাঁর আশঙ্কা, আবারও বৃষ্টি আসবে শুক্রবার। আর অন্তত একটা মাস শীত চাইছেন ওই কৃষকেরা। তাঁরা বলছেন, ফেব্রুয়ারি মাসে যদি শীত ভরপুর থাকে, তাহলে চাষ ভালই হবে।
শুধুমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুরে নয়, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে শুক্রবার রাত থেকে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হয়েছে একটি উচ্চচাপ বলয়। তার হাত ধরেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে। এছাড়া বাংলাদেশের উপর একটি ঘূর্ণাবর্তও রয়েছে। তা থেকেই একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বাংলা হয়ে ওড়িশা পর্যন্ত বির্স্তৃত রয়েছে। তার জেরেই এই বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।