সিঙ্গুর: বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল এবং অন্য দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন ১০০ জন। রবিবার বিজেপির পক্ষ থেকে সিঙ্গুরের আনন্দ নগর পঞ্চায়েত এলাকায় একটি যোগদান সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর হাত ধরে পদ্মশিবিরে যোগদান করেন সিঙ্গুরের আনন্দ নগর গ্ৰাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের টিকিটে জেতা উপ প্রধান-সহ তিন জন পঞ্চায়েত সদস্য। এছাড়াও এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল নেতা চিত্তরঞ্জন সাউ সহ মোট ২৫ জন নেতা কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন।
এই যোগদান প্রসঙ্গে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “২০১৯ সালের লোকসভা ভোট থেকে তৃণমূলে যে ভাঙ্গন ধরেছিল তা এখনও অব্যাহত রয়েছে। আজ আনন্দ নগর গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই নির্বাচনে সিঙ্গুরে বিজেপির ফল ভাল হবে। কারণ সিঙ্গুরে শিল্পের নাম করে ধোঁকা দিয়েছে তৃণমূল সরকার। ১২ বছর হয়ে গিয়েছে। এখনও কোনো শিল্প আনতে পারেনি সিঙ্গুরে। এখন কাশফুল আর ঘুগনি, চপ শিল্পের কথা বলছে। মানুষ এদের চক্রান্ত ধরে ফেলেছে। সে জন্য যারা মানুষের জন্য কাজ করতে চান তাঁরা বিজেপি তে যোগদান করছেন।”
তৃণমূলকর্মীদের বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গোবিন্দ ধারা বলেছেন, “এরা তৃণমূলেরই সদস্য। কিন্তু নিজেরা সুবিধা পাচ্ছিলেন না বলে কংগ্রেসে যোগদান করে। সেখানেও কিছু পায়নি বলে আবার বিজেপিতে যোগদান করেছে। এতে আনন্দনগর বা সিঙ্গুরে কোনও প্রভাব না।”
২০১৯ সালের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তা অন্য মাত্রা পায়। সে সময় দলে দলে তৃণমূল কর্মী ও অনেক নেতা, বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের মধ্য়ে অনেকেই ভোটে টিকিটও পেয়েছিলেন। কিন্তু ভোটপর্ব মিটতেই পদ্মশিবির ত্য়াগ করেন অনেকেই। এই যোগদানের পর হুগলির এই গ্রামীণ এলাকায় আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি কেমন ফল করে, সেটাই এখন দেখার।