হুগলি: রাজ্যের বাতাসে শুধুই সন্ত্রাসের গন্ধ। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ভাষায় তা ‘অশুভ শক্তি’। দেবীপক্ষের সূচনাকালে তাই সাতসকালে অশুভ শক্তির বিনাশ চেয়ে তর্পণ করলেন তিনি। তবে পিতৃপুরুষের বদলে এদিন গঙ্গাতটে নিহত দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে শ্রাদ্ধকর্ম সারেন সাংসদ। তবে একইসঙ্গে তিনি মুখ খোলেন কুড়মি সমাজের রেল অবরোধ ওঠা প্রসঙ্গেও। আক্রমণ শানান মহালয়ার আগে পুজো উদ্বোধন নিয়েও।
মহালয়ার তর্পণকে শুধুমাত্র পিতৃপুরুষদের গণ্ডিতে বেঁধে রাখলেন না বিজেপির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। রবিবার ভোরে হুগলির জোড়াঘাটে দলের শহিদ কর্মীদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলায় যেভাবে সন্ত্রাস হচ্ছে তাতে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এখানকার মা-বোনেরা সুরক্ষিত নন। বাংলার আকাশে বাতাসে অশুভ শক্তি ঘুরে বেড়াচ্ছে। আজ বিপক্ষে সূচনাকালে বিনাশ হোক সেই অশুভ শক্তির। সূচনা হোক এক শুভশক্তির।’
তবে তর্পণ ছাড়াও কুড়মি আন্দোলন ও মহালয়ার আগে পুজো উদ্বোধন, জোড়া ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন তিনি। রেল অবরোধ প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, যেভাবে সিবিআই ও ইডি তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতার বাড়িতে খানা দিচ্ছে, তা থেকে নজর ঘোরাতে কিছু মানুষকে রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পিত উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছে। তবে ভালো খবর, মানুষ বুঝতে পেরে সরে গিয়েছেন। মহালয়ের আগে পুজো উদ্বোধন প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নিজের মতো করে নিয়ম তৈরি করছেন। দুর্গার আরাধনা নয়, আসলে তিনি মমতা দেবীর আরাধনা করছেন। বাংলায় আইন শৃঙ্খলাকে যেভাবে নিজের হস্তগত করেছেন, তেমন ভাবছেন দুর্গাপুজোকেও নিজের মত করে। এই জিনিসের প্রতিবাদ হওয়া উচিত। তবে তৃণমূলের যে রাতে ঠাকুর পাহারা দেওয়ার বক্তব্য তা নিয়ে বলব, তাদের ভাবার দরকার নেই। মায়ের জন্য সারা বাংলার মানুষ রয়েছে।’
এছাড়াও সাংসদ যোগ করেন, ‘মিঠুন চক্রবর্তীকে যেভাবে সম্মান দেওয়ার দরকার ছিল তা দিতে পারলাম না। আমরা ক্ষমতায় এলে যথাযোগ্য সম্মান দেব।’