হুগলি: গুজরাটের ঝুলন্ত ব্রিজেই ঘটেছে বিপত্তি। ব্রিটিশ আমলে তৈরি সেতু ছিঁড়ে নদীতে পড়ে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। এরপরই দেশের পুরনো সেতুগুলির স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনই বড়সড় দুর্ঘটনা না ঘটে যায়, সেই আতঙ্কে রয়েছেন হুগলির মানুষও। কুন্তী ঘাটে কুন্তী নদীর ওপর তৈরি ঝুলন্ত সেতু নিয়ে সাধারণ মানুষের অনেক দিনের চিন্তা। মরচে পড়া সেতুর মেরামত প্রয়োজন বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ।
লোহায় মরচে পড়েছে। কাঠের পাটা ভেঙে গিয়ে বড় বড় ফাঁক তৈরি হয়েছে। কুন্তি নদীর ওপর এই ঝুলন্ত সেতুর স্বাস্থ্য অনেক দিন ধরেই খারাপ বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভাঙা কাঠের জায়গা বাঁশ দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। তবে তাতেও বিপদ কম নেই। ওই ফাঁকে পা আটকে গিয়েছে কেটে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে অনেকের সঙ্গেই। রাতে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় ব্রিজ দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করা যায় না।
পুলকার, অ্যাম্বুল্যান্স, চারচাকা গাড়ি, মোটর বাইক তো চলছেই, এমনকী পন্য নিয়েও পার হতে দেখা যাচ্ছে মোটর ভ্যানগুলিকে। সেতু দ্রুত সংস্কার না হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই সেতুর সংস্কার হয়নি দীর্ঘদিন। ফলে ক্রমশ খারাপ হচ্ছে স্বাস্থ্য। দুদিকে লোহার টানার ওপর থেকে লোহার বিম ঝুলছে। তার ওপর কাঠের তক্তা পাতা। নদীর উপর ঝুলন্ত এই ব্রিজ দেখতে আসেন অনেকেই। সেলফি তোলার হিড়িকও দেখা যায়। গাড়ি চালক ও পথচারীরা বলছেন ব্রিজটির অনেক জায়গায় কাঠ ভেঙে গিয়েছে। কতটা ভার বহন করা যাবে, সেই সংক্রান্ত নোটিস দেওয়া থাকলেও তা মানা হয় না বলে অভিযোগ।
স্কুলের শিশুদের নিয়ে পুলকারও পার হয় ওই সেতু দিয়ে। মগরা ও বলাগড় দুই ব্লকের সংযোগকারী এই ব্রিজে তাই প্রশাসন নজর দিক, চাইছেন এলাকাবাসী। মোরবির ঘটনার পর কিছুটা তৎপর হয়েছে প্রশাসন। ছটপুজোয় ওই সেতুতে ভিড় করতে দেওয়া হয়নি।
চন্দ্রহাটি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রীতা দাস জানান, সেতুটা ভালো করে সংস্কার করতে হবে। পঞ্চায়েতের টাকা নেই, তাই জেলা পরিষদকে বলা হয়েছে। জেলা পরিষদ থেকে ব্রিজ পরিদর্শনও করেছে। সংস্কার প্রয়োজন সেটা বলা হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।