বর্ধমান ও হুগলি: ফের কালবৈশাখীর (Kalbaisakhi Strom) দাপটে রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে আসছে মৃত্যুর খবর। সূত্রের খবর, সিঙ্গুরের (Singur) বারুইপাড়া পলতাগড় পঞ্চায়েতের রামনগর গ্রামে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। অন্যদিকে হরিপালের (Haripal) চন্দনপুর এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়েন এক ব্যক্তি। ইলেকট্রিকের তার জড়িয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে চুঁচুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কার্যত একই ছবি বর্ধমানেও। ঝড়ে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের রায়নার নাড়ুগ্রামে। নাম সাবিত্রী কুণ্ডু(৭০)। বিকালে প্রবল ঝড়ে মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধার।
হুগলির সিঙ্গুর, হরিপাল, তারকেশ্বর, দাদপুর-সহ একাধিক ব্লকে ভেঙে পড়েছে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি। উড়ে গিয়েছে শতাধিক ঘরের চাল। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বহু এলাকা। বৃষ্টিতে প্রচণ্ড দাবদাহের হাত থেকে স্বস্তি মিললেও ঝড়ে একাধিক জায়গায় গাছ পড়ে রাস্তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সিঙ্গুর থেকে বলরামবাটি যাবার রাস্তার উপর গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা। সাইকেল কাঁধে নিয়ে রাস্তা পারাপার করতে দেখা যায় বহু মানুষকে। ধনিয়াখালি ও হরিপালের একাধিক জায়গায় ভেঙে পড়েছে গাছ ও ইলেকট্রিকের পোস্ট।
একই ছবি পূর্ব বর্ধমানেও। বর্ধমান শহর থেকে শুরু করে আউশগ্রাম, ভাতার,গলসি, মঙ্গলকোট,জামালপুর-সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রবল ঝড়ে ভেঙে পড়ে জাতীয় পতাকার স্ট্যান্ড। বর্ধমান স্টেশন চত্বরে কয়েক বছর আগে একটি বিশাল স্ট্যান্ড বসিয়ে তার মাথায় জাতীয় পতাকা বসানো হয়। মঙ্গলবার বিকালে প্রবল ঝড়ে ভেঙে পড়ে জাতীয় পতাকা লাগানো সেই স্ট্যান্ড। পাশাপাশি স্টেশন চত্বরে বেশ কয়েকটি গাছও ভেঙে পড়ে। স্টেশনের পাশে উড়ালপুলের অনেকগুলি লাইট পোস্ট ভেঙে যায়। ঝড়ের দাপটে ট্রেন চলাচলেও হয়েছে সমস্যা। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, বর্ধমান হাওড়া মেইন ও কর্ড শাখায় ট্রেন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় ক্ষয়ক্ষতির ফলেই এই সমস্যা। একই অবস্থা বর্ধমান-আসানসোল ও রামপুরহাট শাখায়। বহু মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে পড়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।