হিন্দমোটর: পানিহাটি, পশ্চিম বর্ধমানের পর এবার হুগলির হিন্দমোটর। তর্পণ করতে গিয়ে তলিয়ে গেল ৫ জন। মহালয়ার সকালে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে হিন্দমোটরের বিবি স্ট্রিট ঘাটে। নিখোঁজদের খোঁজে জোরদকমে চলছে তল্লাশি। মাঠে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। প্রসঙ্গত, এদিন সকাল থেকেই হুগলির একাধিক ঘাটে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। উত্তরপাড়ার হিন্দমোটর অঞ্চলেও এদিন সকাল থেকে তর্পণের উদ্দেশ্যে ভিড় বাড়তে থাকে মানুষের। ভিড় বেড়েছিল বিবি স্ট্রিট ঘাটেও। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, তর্পণ চলাকালীন সময়েই আচমকা গঙ্গার জলে তলিয়ে যান ৫ জন।
খবর যায় পুলিশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। আসেন চন্দননগর পুলিশের ডিসিপি শ্রীরামপুর অরবিন্দ আনন্দ,এসিপি আলী রাজা ও উত্তরপাড়ার আইসি পার্থ সিকদার। খবর পেয়ে চলে আসেন উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদবও। ঘাটে উপস্থিতি অন্যান্যরা তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। তিনজনকে উদ্ধারও করা হয়েছে বলে খবর। তবে এখনও নিখোঁজ ২ জন। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, নদীতে বান আসছিল। সেই সময় পুলিশ-প্রশাসনের তরফে সতর্ক করা হয় ঘাটে থাকা লোকজনকে। বাঁশিও বাজানো হয়। কিন্তু, তারপরেও এড়ানো যায়নি বিপদ। ভেসে যাচ্ছিলেন স্বপন বাহাদুর নামে হিন্দমোটেরের এক বাসিন্দা। তিনিও গিয়েছিলেন তর্পণে। ঘাটে থাকা অন্যান্য মানুষদের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচেন তিনি। বলেন, হঠাৎ বান এসে যায়। জলের ঘূর্নিতে পরে গিয়েছিলাম। কোনওভাবে প্রাণে বেঁচেছি।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। প্রশাসনের ব্যর্থতার দিকে আঙুল তুলেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা পঙ্কজ রায়। তিনি বলেন, প্রশাসন সব জেনেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। আগে থেকে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়নি। নিখোঁজদের খুঁজতেও দেরি হচ্ছে। যদিও উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব বলেন, শুভদিনে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখন দোষ-গুণ বিচার করার সময় নয়। যাঁরা নিখোঁজ হয়েছেন তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছেন সৌম্য মজুমদার, সৌভিক দত্ত,স্বপন ভট্টাচার্য, গৌরাঙ্গ মণ্ডল। যদিও পুলিশের দাবি তিন জন নিখোঁজ রয়েছে।