হুগলি: কথাতেই আছে ‘জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ’। হুগলি শেওড়াফুলি বাসিন্দা অজয় সাহা সেই প্রবাদকে আক্ষরিক অর্থে সত্যি করেছেন। বছর আটচল্লিশের অজয় পেশায় একজন জুতো বিক্রেতা। শ্রীরামপুরের এন এস অ্যাভিনিউতে রয়েছে তাঁর জুতোর দোকান। সারাদিন জুতো বিক্রির পাশাপাশি তার নেশা মহিষাসুরমর্দিনী পাঠ করা। অনর্গল গোটা মহিষাসুরমর্দিনী শ্লোক তিনি মুখস্থ বলে চলেছেন। যা শুনলে মনে হয় যেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র স্বয়ং মহিষাসুরমর্দিনী পাঠ করছেন।
এইরকম শখ হওয়ার পিছনে স্বয়ং বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রেই রয়েছেন। ছোট বয়সে বাবার সঙ্গে প্রতি বছর মহালয়ার দিন ভোরবেলায় উঠে রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলার মহালয়া শুনতেন। তাই তাঁর মনে ইচ্ছা ছিল তিনিও একদিন মহালয়া পাঠ করবেন। সেই থেকেই শুরু তার মহিষাসুরমর্দিনী শ্লোক পাঠ করার অধ্যাবসায়।
অজয় যখন ১৫ বছর বয়স সেই বয়স থেকেই তিনি শুরু করেন মহিষাসুরমর্দিনীর স্তোত্র পাঠ করা। পাড়া-প্রতিবেশীরা তাঁর গলা শুনে মুগ্ধ হয়ে যান। এখন পুজো এলেই বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে তাঁর ডাক আসে জনসমক্ষে মহালয়া বলে শোনানোর জন্য।
এই বিষয়ে অজয় সাহা জানান, তাঁর জীবনের রোল মডেল বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র। তিনি তাঁর দেখা কখনও পাননি। তবে যদি কোনওদিন দেখা হত, তাঁর পা একবার স্পর্শ করে প্রণাম করতেন। তাঁর ইচ্ছা তিনিও কোনওদিন টিভি কিংবা রেডিওতে মহালয়া পাঠের সুযোগ পাবেন।