Aparupa Poddar : ৩৬ নয়, চব্বিশেই ফয়সালা! মমতা প্রধানমন্ত্রী আর অভিষেক মুখ্যমন্ত্রী, টুইট অপরূপার
Aparupa Poddar : কুণাল ঘোষ বলছেন, ২০৩৬ সালে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ অপরূপা পোদ্দার বলছেন, ২০২৪ সালে বাংলার মসনদে বসবে অভিষেক। কেন অভিষেক ২০২৪ সালে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন, নিজের টুইটে সেকথাও জানিয়েছেন অপরূপা।
আরামবাগ : বাংলার মসনদে কবে বসবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? যেন ভবিষ্যদ্বাণীর লড়াইয়ে নেমেছেন তৃণমূল নেতারা। গতকাল তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ২০৩৬ সালে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, রাজ্য সম্পাদকের থেকে আরও একধাপ এগিয়ে ‘খেললেন’ আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার (Aparupa Poddar)। তিনি বলছেন, অতদিন ‘অপেক্ষা’ করতে হবে না। ২০২৪ সালে অভিষেক বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলে আজ টুইট করেন আরামবাগের সাংসদ। তাঁর এই টুইট ঘিরে শোরগোল শুরু হতেই অবশ্য টুইটটি মুছে ফেলেন অপরূপা।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গতকাল ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন কুণাল ঘোষ। যেখানে তিনি লেখেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের এক সৈনিক হিসেবে বলতে পারি, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতাদি। আর সেই ২০৩৬ সালে তিনি অভিভাবকের মত উপস্থিত থাকবেন এমন অনুষ্ঠানে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেবেন অভিষেক।”
কুণালের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। ২০৩৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা অভিষেক মেনে নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “এটা অভিষেক মেনে নিতে পারবে তো? এখন থেকেই তো ডায়মন্ড হারবার মডেল তৈরি করে নিয়েছে। আগে বাংলা মডেল বলা হত, এখন ডায়মন্ড হারবার মডেল বলা হয়।”
কুণালের ফেসবুক পোস্টের ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই অভিষেককে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চেয়ে টুইট করলেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ। টুইটে অপরূপা লেখেন, “আমি চাই, আমাদের দিদি ২০২৪ এ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন আরএসএস মনোনীত রাষ্ট্রপতির থেকে। আর এই বিজেপির গোবর্ধন জগদীশ (জগদীপ) ধনখড়ের থেকে বাংলায় ২০২৪-এ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন আমাদের প্রিয় যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।”
তৃণমূল কংগ্রেসের এখন লিখিত ২ নম্বরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার অনেক আগে থেকেই তৃণমূলের অলিখিত সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক। তাঁর আগে মুকুল রায়কে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড ধরা হত। যদিও অভিষেক একাধিকবার বলেছেন, তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সেকেন্ড বলে কিছু নেই। সবাই দলের সৈনিক।
বিরোধীদের বক্তব্য, ভাইপো অভিষেককে তুলে ধরতে সবসময় চেষ্টা করে চলেছেন মমতা। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, মমতা যে অভিষেকের হাতে দলের ব্যাটন তুলে দেবেন, তা স্পষ্ট। কিন্তু, এখন থেকেই যেভাবে অভিষেককে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে, তাতে অস্বস্তিতে পড়তে পারে দল।
তাঁর টুইট ঘিরে আজ রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল শুরু হতেই তা মুছে ফেলেন অপরূপা। এর আগে রবিবার তৃণমূলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যও একটি ফেসবুক পোস্ট করে মুছে দেন। ওই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, গত একবছরে দলে ড্রেনের জল ঢুকেছে। তাঁর এই পোস্ট নিয়ে বিতর্ক বাধতেই তা মুছে ফেলেন দেবাংশু। তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা পোস্ট করার পর কেন তা মুছে ফেলছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।