Aadhaar Fraud: ফের আধার প্রতারণা বাংলায়, চন্দননগরে ‘বেআইনি’ কম্পিউটার সেন্টার থেকে গ্রেফতার ৩

Ashique Insan | Edited By: জয়দীপ দাস

Oct 29, 2023 | 7:37 AM

Aadhaar Fraud: ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে চন্দননগর পুলিশের সাইবার থানার পুলিশ। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার থানার ইন্সপেক্টর গৌতম সাহা জানাচ্ছেন, “UIDAI ডিরেক্টর যিনি আধারের বিষয়টি দেখেন তিনি একটি অভিযোগ করেন এই মাসেরই ২০ তারিখে। তার কাছ থেকে বিষয়টি জানি। শুরু হয় তদন্ত।”

Aadhaar Fraud: ফের আধার প্রতারণা বাংলায়, চন্দননগরে ‘বেআইনি’ কম্পিউটার সেন্টার থেকে গ্রেফতার ৩
ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

চন্দননগর: বিগত কয়েক মাস ধরেই আধার ভয়ে দিন কাটছে বাংলার। আচমকা ব্যাঙ্ক থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এর জন্য প্রতারকেরা ব্যবহার করছে আধার এনেবেল্ড পেমেন্ট সিস্টেম। এই পদ্ধতি  ব্যবহার করেই আঙুলের ছাপ নকল করে অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে টাকা। প্রতারণার শিকার হয়েছেন বহু মানুষ। বাংলার বুকেই এরকম চক্রের হদিশও পাওয়া গিয়েছে। এবার অন্যের আইডি ব্যবহার করে বেআইনি ভাবে বেশি টাকা নিয়ে আধার আপডেট চক্রের হদিশ পেল চন্দননগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল চন্দননগরে। 

ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে চন্দননগর পুলিশের সাইবার থানার পুলিশ। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার থানার ইন্সপেক্টর গৌতম সাহা জানাচ্ছেন, UIDAI ডিরেক্টর যিনি আধারের বিষয়টি দেখেন তিনি একটি অভিযোগ করেন এই মাসেরই ২০ তারিখে। তার কাছ থেকে বিষয়টি জানি। অভিযোগ ছিল চন্দননগর কোর্ট মোড়ের কাছে একটি কম্পিউটার সেন্টারে চলছে কিছু বেআইনি কাজ। সেখানে অন্যের আইডি ব্যবহার করে বেশি টাকা নিয়ে সংশোধন করা হচ্ছে আধার। তিনি বলেন, আমরা ওই জায়গায় গিয়ে দেখি ওখানে কম্পিউটার শেখানো হয়। একইসঙ্গে আধার কার্ড আপডেট, প্যান কার্ডের কাজ করা হয়। কিন্তুই এই কাজ করার জন্য তাঁদের কাছে বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে তাঁরা কিছু দেখাতে পারেননি। 

তিনি এও জানাচ্ছেন, নতুন আধার কার্ড তৈরির জন্য় কোনও ব্যক্তিকে কোনও টাকাই দিতে হয় না। পরবর্তীতে সংশোধন করতে গেলে তাঁকে ৫০ টাকা দিতে হয়। কিন্তু, তা জানেন না অনেক সাধারণ মানুষই। অভিযোগ, সেই অজ্ঞানতাকে কাজে লাগিয়ে ৫০ টাকার বদলে ওই সেন্টারে আড়াইশো থেকে তিনশো টাকা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্য়েই ওই কম্পিউটার সেন্টারের ল্যাপটপ, কিছু হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। প্রথমেই গ্রেফতার করা হয় ওই কম্পিউটার সেন্টারের মালিককে। পরে আবার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আউট সোর্সিং এ কাজ করা এক কর্মীকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। শেষে বৈদ্যবাটি থেকে গ্রেফতার করা হয় আরও একজনকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান এর পিছনে কোনও বড় চক্রের হাত রয়েছে। ধৃতদের জেরা করে সে বিষয়েই জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

Next Article